সিস্টেম লস ৫.৫৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: ডেসকো

ডেসকোকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপদান করাই সবার উদ্দেশ্য। এ কোম্পানির একটি বড়  সাফল্য  হচ্ছে  সিস্টেম লস ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশে নামিয়ে আনা।  ভবিষ্যৎ গ্রাহক চাহিদা পূরণ এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ২০২০-২১ অর্থ বছরের ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

ডেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বোর্ডের পরিচালকরা, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিতিতে শেয়ারহোল্ডাররা অংশ নেন। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১০ ভাগ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়।

ডেসকো’র ওপর আস্থা রেখে বিনিয়োগ করার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডেসকো’র চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বছরগুলোতেও ডেসকো তার সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। চলমান কোভিড-১৯ অতিমারি পরিস্থিতিতেও ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মদক্ষতা চুক্তি (এপিএ) তে ৯৬.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডেসকো প্রথম স্থান অর্জন করেছে।'

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাওসার আমীর আলী  বলেন, ডেসকোকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপদান করাই আমাদের  মূল উদ্দেশ্য। আমাদের  একটি বড়  সাফল্য  হচ্ছে আমরা সিস্টেম লস ৫.৫৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।  ভবিষ্যৎ গ্রাহক চাহিদা পূরণ এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা আরও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছি। প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ডেসকো এলাকায় যে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ডিজিটাইজেশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপস, কল সেন্টার, গ্রাহকদেরকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল এসএমস-এর মাধ্যমে প্রেরণ, ঘরে বসে অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল প্রাপ্তি এবং অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফরম ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করার প্রক্রিয়াকে আমরা আরও সহজতর করেছি।'