২১ মার্চ দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী 

আগামী ২১ মার্চ দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তিনি।

সোমবার (১৪) বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এফইআরবি) ও নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল)—এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’—এ এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এফইআরবি-র চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেন, নথ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সিইও খোরশেদুল আলমসহ আরও অনেকেই বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ গুণ বেড়েছে। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎসহ দেশে এখন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। আরও ১৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। আগামী ২১ মার্চ শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। বিদ্যুতায়ন এখন ৯৯ দশমিক ৮৫ ভাগ, এটাকে শতভাগই বলা যায়। সারাদেশে এখন আমাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছে মন্ত্রী নসরুল হামিদ

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে পার্বত্য এলাকায় গভীর কূপ খনন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে সেখান থেকে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে আমাদের চাহিদা বাড়ছে হাজার হাজার ঘনফুট।

এসময় বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি; এটা অনেক বড় বিষয়। সন্দ্বীপ, রাঙ্গাবালী,  নিঝুম দ্বীপ, চরসোনারামপুরসহ প্রায় বেশিরভাগ চর এলাকায় আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। 

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘এটা সম্ভবত বিশ্বে সবচাইতে কম সময়ে স্থাপন করা কেন্দ্র। স্বাধীনতার মাসে এই ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটি কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান যাতে সফল হয় সেই আশা করছে সবাই।’

তিনি জানান, ‘পায়রা থেকে আরও একটি সঞ্চালন লাইনের রূট করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে খুলনা ও যশোরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এতে এই কেন্দ্রের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।‘