মেয়াদ বাড়লো ৫ কুইক রেন্টালের

সরকার দেশের পাঁচটি কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য দুই বছরের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এ জন্য সরকারের মোট খরচ হবে ৮ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে আছে তিনটি। একটি যশোরের নোয়াপাড়ায়, অপরটি খুলনার গোয়ালপাড়ায়। এসব কোম্পানি তাদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল পাঁচ বছরের জন্য। সরকার দুই বছরের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। 

বুধবার (২৩ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী জানান, গত বছরের বিভিন্ন সময় কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ ফুরিয়েছিল। সরকার যদিও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভাড়াভিত্তিক এই কেন্দ্র থেকে আর বিদ্যুৎ কিনবে না, তারপরও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সরকারের কাছে সুপারিশ করে।

অর্থমন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে গত জুন থেকেই টানা আলোচনা চলছিল। অবশেষে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ নীতিমালার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে পাঁচটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে খুলনার গোয়ালপাড়ায় ১১৫ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। যশোরের নওয়াপাড়ায় ৪০ মেগাওয়াট কেন্দ্র থেকে কিনতে খরচ হবে ৪৬০ কোটি টাকা। সামিট পাওয়ারের নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জের ১০২ মেগাওয়াট কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জ মেঘনা ঘাটে ১০০ মেগাওয়াটের অরিয়ন পাওয়ার কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে খরচ করতে হবে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াটের ডাচ বাংলা পাওয়ার অ্যাসোসিয়েট থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ খরচ হবে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।