গ্যাসের দাম ঠিক না হতেই বিদ্যুতের শুনানি নিয়ে প্রশ্ন

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনও সমাধান না হতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদনের শুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১৮ মে (বুধবার) পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই শুনানি হতে যাচ্ছে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন আমলে নেওয়ায় পিডিবি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই আবেদন করে। বিইআরসি বলছে, এখনও গ্যাসের দাম বাড়েনি। কাজেই কীসের ভিত্তিতে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে তা ঠিক হয়নি।

আইনি বাধ্যবাধকতা মানতেই এই শুনানি হচ্ছে ‍বলে জানিয়েছেন বিইআরসির এক সদস্য।

পিডিবি বলছে, বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের দাম ১০০ ভাগ বাড়ানো হলে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৬৯ পয়সা করে বাড়বে। এতে গড়ে বিদ্যুতের পাইকারি সরবরাহ ব্যয় হবে ৯ টাকা ২৭ পয়সা। ফলে এই দাম বাড়ানো যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে পিডিবি।

কিন্তু জ্বালানির দাম না বাড়লে হুট করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া কেন শুরু এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতে দেশে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সরকার পণ্য সরবরাহ বাড়িয়েও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছে না। তাই নতুন করে বিদ্যুৎ নিয়ে আবার সাধারণ মানুষকে বেকায়দায় ফেলতে চাইবে না সরকার, এমনটাই জানালো বিদ্যুৎ-জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্র। তবু এরপরও কেন এই শুনানি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানতে চাইলে বিইআরসির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পিডিবি মনে করেছিল এরমধ্যে গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে। কিন্তু তা নিয়ে এখনও আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।

তিনি বলেন, কোনও আইন অনুযায়ী বিইআরসি যদি কোনও প্রস্তাব আমলে নেয়, তবে ৬০ দিনের মধ্যে সেটার শুনানিও করতে হয়। আইনি বাধ্যবাধকতা মানতেই এই শুনানি করা হচ্ছে। 

জানতে চাইলে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, সরকার দেখছে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এখন দাম না বাড়িয়ে বরং কমানো উচিত। বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় জ্বালানি দিয়ে। জ্বালানির বেশিরভাগই হলো গ্যাস। এখন গ্যাসের দাম ঠিক না হলে কীসের ভিত্তিতে বিদ্যুতের নতুন দাম ঠিক করবে কমিশন?