বাংলাদেশের কাছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব রাশিয়ার

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কাছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। কীভাবে তেল কেনা যায়, তা পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।’

ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধের মধ্যে চীন এবং ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলে আমদানি করছে। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে চীন রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করছে বলে বিশ্ব গণমাধ্যমে জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই তথ্য জানালেন। তবে সরকার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

আজ সোমবার (২৩ মে) বিদ্যুৎ ভবনে বিপিএমআই আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ খাতে সাইবার নিরাপত্তা-নীতি এবং অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ওই বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিমন্ত্রী শুধু রাশিয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। সরকার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তিনি পরিষ্কার করেননি।

গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি বিভাগ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায়। এখন কেরোসিন ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারছে না। এর ফলে বিকল্প উপায়ে অন্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করার ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর উপর বাড়তি চাপ পড়েছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।