১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে ৯৩ টাকা

মে মাসের মতো জুন মাসেও কমলো এলপিজির দাম। প্রতি কেজিতে কমলো ৭ টাকা ২৩ পয়সা, এ হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে ৯৩ টাকা। একইভাবে অটোগ্যাসের দামও কমানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) অনলাইনে বিইআরসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাম ঘোষণা করা হয়। নতুন নির্ধারিত দাম আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে।

জুন মাসের জন্য প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ টাকা ৫২ পয়সা; যা মে মাসে ছিল ১১১ টাকা ২৬ পয়সা। একইভাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে ১ হাজার ২৪২ টাকা, যা মে মাসে ছিল ১ হাজার ৩৩৫ টাকা।

এর আগে মে মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৮ টাকা ৬৮ পয়সা কমেছিল। সেই হিসাবে ওই সময় প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৩৩৫ টাকা করা হয়েছিল। এই হিসাবে পর পর দুই মাস কমলো এলপিজির দাম।

বিশ্ববাজারসহ দেশের বাজারে যখন সব জিনিসের দাম বাড়তি তখন এলপিজির এই দাম কমাটা সুখবরই বটে। 

জুন মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬২ টাকা ২১ পয়সা থেকে কমিয়ে ৫৭ টাকা ৯১ পয়সা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌদি সিপি অনুসারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম প্রতি টন যথাক্রমে ৮৫০ ডলার থেকে কমে ৭৫৯ এবং  ৮৬০ থেকে কমে ৭৫০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জুন মাসের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবে জ্বালানি তেল, এলএনজি ও এলপিজির দাম প্রথম দিকে বাড়লেও এখন আবার নিচের দিকে নামছে। তারই প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতি কেজি ১০৮ টাকা ০২ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা ২৯ পয়সা করা হয়েছে।
 
এছাড়া সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই কমানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব খলিলুর রহমান খান, সদস্য মকবুল-ই ইলাহি, বজলুর রহমান, আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কেউ বেশি দাম চাইলে ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ দিন অথবা আমাদের জানান। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ভোক্তা অধিদফতর বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছে। আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে।