সিলেট-সুনামগঞ্জে বেশিরভাগ মানুষ এখনও বিদ্যুৎহীন

বন্যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সুনামগঞ্জ এবং সিলেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ক্ষতির পরিমাণ অপরিসীম। দুই জেলার বেশিরভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহের বাইরে রয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিমানবন্দর, এমনকি রেললাইনের উপরেও এখন বন্যার পানি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর ভারী বৃষ্টি আরও একদিন থাকার পূর্বাভাস দেওয়ায় সিলেট শহরের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্ট সবার।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) প্রধান কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, আমরা স্থানীয় বিদ্যুৎকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। লাইন এই দৃশ্যমান হচ্ছে আবার কিছুক্ষণ পর ভেসে যাচ্ছে। চার্জ করতে না পারায় অনেকের ফোন বন্ধ হয়ে গেছে।

আরইবির সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, সিলেট সদর এবং দক্ষিণ সুরমা এলাকার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি সবচাইতে বেশি। সুনামগঞ্জ এবং তামাবিলের পানি কিছুটা নেমে যেতে শুরু করেছে।

আরইবি জানায়, সুনামগঞ্জ এবং ছাতক গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু আছে। তবে এখানের মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এখনও সুনামগঞ্জের সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে সিলেট-১ (সিলেট শহর) সমিতির সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন। সিলেট-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো। সেখানেও এখন পানি ওঠে যাওয়ায় কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। তবে ছাতক থেকে কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে অল্প গ্রাহক বিদ্যুৎ পেলেও কোম্পানিগঞ্জের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। তারা সবাই অন্ধকারেই আছেন। এখনও এই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এখানের মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।