‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে’

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ চেইন পুনঃপরীক্ষা করা উচিত। কৃষিতে সার ও জ্বালানির ব্যবহারে কৃচ্ছ্রতা, পরিবহন খাতে, শিল্প বা আবাসিকে  জ্বালানি তেলের সাশ্রয়ী ব্যবহার আমাদের জন্য কল্যাণকর। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই উদ্ভাবনই সাফল্যের চাবিকাঠি।’

রবিবার (৩ জুলাই) সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনার অন্তর্বর্তী  প্রতিবেদনের ওপর দ্বিতীয় অংশীজন সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহাপরিকল্পনাটি জাইকার কারিগরি সহায়তায় প্রণয়ন করা হচ্ছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো ও জাইকা স্টাডি টিমের প্রধান ইচিরো কুতানি বক্তব্য রাখেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানির মূল্য ক্রমবর্ধমান। এ জন্য ইউরোপ এখন কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে।  আমাদের কার্বন ইমিশন খুবই কম। আমাদের ফুয়েল মিক্সে সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানির অংশ বাড়ানো যেতে পারে।’ তিনি এ সময় আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই উদ্ভাবনই সাফল্যের চাবিকাঠি। আমাদের থ্রি হুইলার এক সময় হয়তো জ্বালানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে বলা হয়, টেকসই উন্নয়নকে লক্ষ্য রেখে পূর্বের মহাপরিকল্পনা পর্যালোচনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চাহিদা, প্রাথমিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, জ্বালানি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, ২০৫০ সাল পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে জাতীয়ভাবে ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনডিসি) হালনাগাদ, সর্বপরি অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে  সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ইকোনমি,  এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি  সংযুক্ত করে সুষম উন্নয়ন করতেই এই মহাপরিকল্পনা। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ইমিশন নেট জিরো করার নির্দশনাও এখানে থাকবে।’

জ্বালানির চাহিদা নিরূপণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহজ্বালানি হিসেবে অ্যামোনিয়া, ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহজ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হবে, বা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।’