দিনে-দুপুরে জ্বলছে বাতি

‘যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি’— বহু বছর আগে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের লেখা কবিতাটি আজ যেন সত্যি হতে চলেছে। জ্বালানি সংকট তীব্র হওয়ায় সরকার বাধ্য হয়েই লোডশেডিংয়ের শিডিউল করেছে। অপচয় বন্ধের বিষয়ে কঠোর হয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। কিন্তু এরমধ্যেই দিনে দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাস্তার বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। গুলশান-২ নম্বরের ৭৮ নম্বর সড়কে সিটি করপোরেশনের বাতিগুলো জ্বলতে দেখা যায়।

বলাবাহুল্য এই চিত্র রাজধানী ঢাকায় নতুন নয়। যাদের দায়িত্ব বাতির সুইচ বন্ধ করার তারা এমন কাজ প্রায় করেন। সংকটটা যেহেতু তীব্র তাই এবার বিষয়টি চোখে লেগেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জবাবদিহি না থাকার কারণে সিটি করপোরশেনের লোকজন এমন কাজ করে। তবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা অর্থাৎ দিনের আলো জ্বলবার সঙ্গে সঙ্গে বাতি নিজ থেকে বন্ধ হয়ে গেলে এমনটি হতো না বলে অনেকে মনে করেন।

গুলশানের ওই বাতি জ্বলা রাস্তার পাশের বিল্ডিংয়ের এক সিকিউরিটি গার্ড জানান, তার ডিউটি শুরু হয়েছে দুপুর দুটায়। তখন এসেই তিনি এই বাতি জ্বালানো অবস্থায় দেখতে পান।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের অনেক জায়গায় রাস্তার বাতির কমিশনিং চলছে। আবার অনেক জায়গায় মেরামতের কাজও হয়। সেই সময় অনেক সময় দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে কাজ করা হয়’।

পড়ুন: লোডশেডিং- এর আরও খবর