পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল কম সরবরাহের কোনও নির্দেশনা জারি করেনি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা পেট্রোবাংলা। অথচ এমন একটি নির্দেশনা কিছু পেট্রোল পাম্পে সাঁটিয়েছে মালিকদের সংগঠনের একাংশ। এ ধরনের কাজের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে বিপিসি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ধরনের নির্দেশনা একটি নোটিশের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করছেন। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে মোটরসাইকেলের জন্য সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার অকটেন এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা অকটেন বা ডিজেল নেওয়া যাবে।’
পেট্রোলপাম্প মালিকদের আরেকটি অংশ মনে করছে, ‘এই নির্দেশনার ফলে সাধারণ মানুষ এতে আতংকিত হবে, তারা মনে করবে দেশে জ্বালানি তেলের সংকট তৈরি হয়েছে এবং সারা দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হবে।’ তাদের মতে সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত আসার আগেই আগ বাড়িয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ের এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া ঠিক হয়নি।
সংগঠনের নির্দেশনা জারি করা অংশের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা পাম্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগে ডিপো থেকে যে পরিমাণ তেল পাওয়া যেতো তার তুলনায় কম পাচ্ছি। এই কারণে একটু বুঝে-শুনে বিক্রির কথা বলেছি আমরা। তবে এটিকে তারা নির্দেশনা না বলে পরামর্শ বলতে চান।
তিনি জানান, আমরা বলেছি, যাতে সবাই তেল পায়, কেউ ফিরে না যায়, এজন্য পাম্পে যে তেল আছে সেটিই ভাগ করে যে পরিমাণ দেওয়া দরকার সেটুকু দিতে। অনেকেই গাড়ি ভরে তেল নিতে চান, যদিও তা আপাতত দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে অন্য অংশের সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, এ ধরনের কোনও নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে আমরা পাইনি। আমরাও এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত জারি করিনি। এই মুহূর্তে এই ধরনের সিদ্ধান্ত মানুষকে আতংকিত করবে। মানুষ মনে করবে তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারা তখন আতংকিত হয়ে তেল মজুদ করা শুরু করবে। এতে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।
এই বিষয়ে জানার জন্য বিপিসির চেয়ারম্যানকে ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর আসলাম উদ্দিন জানান, এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ (নোটিশ) করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।