‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসেবে বায়ুবিদ্যুতের প্রসার বাড়বে’

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হিসেবে বায়ুবিদ্যুতের আকার দিনে দিনে আরও  বড় হবে। তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বায়ু প্রবাহের তথ্য-উপাত্ত (ডাটা) সংগ্রহ করে ওয়াইন্ড ম্যাপিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সার্বিক উপযুক্ততা যাচাই করে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’

রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যদিও বায়ু থেকে মাত্র ২­৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান, ৫টি প্রকল্পের অধীনে আরও ২৩০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রক্রিয়াধীন, তবুও বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আকার আরও বড় হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, আমেরিকার ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরি প্রদত্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষত খুলনার দাকোপ, চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং চাঁদপুরের নদী মোহনার এলাকায়  ১০০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গড়বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৬ মিটারের বেশি, যা বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।