অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দুঃখ প্রকাশ

রাজধানীসহ দেশের একটি বড় অংশে দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪ মিনিটে একটি গ্রিড লাইনে সমস্যার কারণে এই অঞ্চলে ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অঞ্চল। মঙ্গলবার রাত সোয়া দশটায় বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। তবে এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর) ও দক্ষিণ অঞ্চলে (খুলনা, বরিশাল) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল।

এতে আরও বলা হয়, দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। রাত ৯টায় সিস্টেম জেনারেশন ৮,৪৩১ মেগাওয়াট এবং ক্রমান্বয়ে জেনারেশন বৃদ্ধি করে সতর্কতার সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ জেনারেশন কেন্দ্রগুলো (ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, মেঘনাঘাট, হরিপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ ইত্যাদি) চালু করে ধীরে ধীরে সিস্টেম স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঢাকায় ২৩০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ১৭৫০ সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের  কারণ উদঘাটনের জন্য পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (পিঅ্যান্ডডি) ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকেও আরও দুটি কমিটি গঠন করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করে বলেছেন, দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।