সেচ মৌসুমে চাহিদা ১৪ লাখ টন ডিজেল

কৃষকদের জন্য বিশেষ সেল খুলেছে জ্বালানি বিভাগ

এবার সেচ মৌসুমে ডিজেলের চাহিদা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন। সরকারের নির্ধারিত দামে যাতে কৃষক ডিজেল পায় সেজন্য কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল খোলা হয়েছে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির প্রধান কার্যালয়ে এই সেল খোলা হয়৷

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) অনলাইনে কৃষি সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এই তথ্য জানানো হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৃষি সেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের কাছে সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য গত ১ ডিসেম্বর বিপিসি চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে “কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল” খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুত সার্বক্ষণিক ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২২-২৩ সালের কৃষি সেচ মৌসুমে ডিজেল ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন ও লুব অয়েল ৪৫ হাজার ৯৭১ মেট্রিক টনের চাহিদা ধরা হয়েছে।

সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি খাতে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে। যা মোট ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ১৬ দশমিক ৬৪ ভাগ। ডিজেল বাফার স্টক, তেল সরবরাহের জন্য ট্যাংক-ওয়াগন বা রেল র‍্যাক নিশ্চিতকরণ, নৌপথের নাব্য সংরক্ষণ, তেলপাচার রোধ ও নৌঘাট সংক্রান্ত রাস্তার সংস্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়।

কৃষি সেচ মৌসুম-ডিসেম্বর ২০২২ থেকে মে ২০২৩ জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

ভার্চুয়াল সভায় উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংশ্লিষ্টদের নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

ভার্চুয়াল আন্তমন্ত্রণালয় সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন,  পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান,  আরইবির চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দফতর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।