এবার জিপিএস লোকেশনের আওতায় আসছে সিএনজি স্টেশন

পেট্রোল পাম্পের পর এবার সিএনজি স্টেশনগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে জিপিএস ম্যাপিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের একটি বৈঠকে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতেই এ সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি জানাতে হবে।

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা পেট্রোল পাম্পগুলোকে জিপিএস লোকেশনের আওতাভুক্ত করেছি। সিএনজি স্টেশনগুলাকেও একইভাবে জিপিএস লোকেশনে আনা সম্ভব হলে কোথায় কোথায় এগুলো আছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে প্রতিদিনের জ্বালানি গ্রহণ এবং বিক্রির হিসেব অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হলে জ্বালানি বিক্রিতে স্বচ্ছতা আসবে।

জ্বালানি বিভাগের বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়, তেল বিপণন কোম্পানির আওতাভুক্ত সব ফিলিং স্টেশনের তালিকা (জিপিএস ম্যাপসহ/জিওগ্রাফিক লোকেশনসহ) সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত/নির্দেশনা অনুযায়ী আলোচ্য ডাটাবেজ আপডেট করা হয়েছে। ডাটাবেজটি জাতীয় ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে লাইভ করার বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে বিপিসির নামে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। ডাটাবেজটি লাইভ করার কারিগরি কাজ চলছে। শিগগিরই এ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিএনজি স্টেশনগুলোর ডাটাবেজ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা একটি কমিটি গঠন করা করেছে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। বৈঠকে জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেন দ্রুত কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্প্রতি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি খাতকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আমরা দেশের সবগুলো ফিলিং স্টেশনকে জিপিএস ম্যাপিং সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসছি। জ্বালানি তেল বিক্রয় নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং জোরদার রাখতে হবে।

জ্বালানি বিভাগ বলছে এত দিন সরকারের কাছে কোনও তথ্যই ছিল না। কোন পেট্রোল পাম্প কোথায় সেগুলোর অনুমোদন আছে কি নেই তা জানা কঠিন ছিল। এখন এটি আর কোনও কঠিন কাজ হবে না। এখন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এক জায়গায় বসেই এগুলো মনিটরিং করা যাবে।

বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, সব কিছুর আধুনিকায়ন হচ্ছে। এর ভিত্তিকে কোন পেটোল পাম্প কতটুকু জ্বালানি নিচ্ছে তার একটি তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। একইভাবে দেশের সিএনজি স্টেশনগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে নতুন এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে। এতে কোনও সিএনজি স্টেশন গ্যাস চুরি করছে কি না তা বোঝা যবে।

এ বিষয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিক সমিতিত সাধারণ সম্পাদক ফারহান নুর বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলে এই খাতের স্বচ্ছতা আসবে। ফলে আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা চাই জ্বালানি তেলের কেনাবেচায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হোক।