রাজধানীতে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট

রাজধানী ঢাকায় আকস্মিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। যদিও বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, শিডিউল সংরক্ষণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ যা-ই হোক—বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি পড়েছেন গ্রাহকরা।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সারা দিন ঢাকায় লোডশেডিং হয়েছে ২৪০ মেগাওয়াট। যার ২০০ মেগাওয়াট ছিল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ডিপিডিসি) আর ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লোডশেডিং করেছে ৪০ মেগাওয়াট। এদিকে পিডিবির হিসাবে সারা দেশে লোডশেডিং ছিল ৭১৮ মেগাওয়াট।

পিডিবি বলছে, শীতে তারা নিয়মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র সংরক্ষণ (মেইনটেইনেন্স) করে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন ফিডার বন্ধ রাখেন। এই লোডশেডিংও তারই অংশ।

তবে যে কারণেই লোডশেডিং হোক, ভোগান্তি তো থাকছেই। শীতে তাপের তীব্রতা না থাকলেও বহুতল ভবনে লিফট চালানো, পানির সংকট সৃষ্টিসহ অন্ধকারে সময় পার করতে হয়েছে গ্রাহকদের। লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষজন।

আজ ঢাকার বসুন্ধরা, শান্তিনগর, মালিবাগ, বাসাবো, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, বনশ্রী, রামপুরা, মগবাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডিসহ আশপাশের এলাকায় এবং মিরপুর, উত্তরার কিছু অংশে লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমনিতেই শীতের কারণে ঢাকায় বিদ্যুতের চাহিদা কম। এরপর আমরা যে বিদ্যুৎ পাচ্ছি তা চাহিদার তুলনায় কম। তাই কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় ২০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। সব মিলিয়ে ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ১২০০ মেগাওয়াটের মতো।

এদিকে ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদেরও লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। দিনের বেলা ৮০ মেগাওয়াটের মতো আর সন্ধ্যার পর ৪০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে। শুনেছি বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র শীতকালীন মেইনটেন্যান্সে যাওয়ায় কিছুটা বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে।

এদিকে পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, বড় বড় বেশ কিছু কেন্দ্র শীতকালীন মেইনটেন্যান্সে যাওয়ায় এই ঘাটতি হয়েছে। বড় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রামপাল ৫০০, পায়রা ৬০০, ভোলা ২৩০, বড়পুকুরিয়ায় ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ আছে। এসব কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা আরও বেশি হলেও আপাতত এই পরিমাণ বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করছিল। এতেই কিছুটা বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এদিকে পিডিবির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, আজ দেশে সম্ভাব্য বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১০ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন করা হতে পারে ৯ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট। এ হিসেবে লোডশেডিং ধরা হয়েছে ৭১৮ মেগাওয়াট।