বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং: ঢাকা চেম্বার

সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎনির্ভর শিল্প কারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা তৈরি করবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার মনে করছে, এমনিতেই দেশের বেসরকারি খাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেছেন, আমরো আশা করছি সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জে মুখোমুখি বলে উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানি সংকট। আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানি নির্ভর। তিনি আশা প্রকাশ করেন, স্থানীয় শিল্প এবং বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে সরকার।

তিনি বলেন, সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে করে এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারিখাত আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিবেলায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত মূল্য হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।

যেহেতু, বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানির ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল, এমতাবস্থায় নবায়নযোগ্য ও বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে বের করতে এবং একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে প্রাধান্য দিতে সামীর সাত্তার সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন। বিদ্যুৎ খাতে স্বল্পতার সংকট মোকাবিলায় সরকারকে নিয়মিতভাবে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা যাচাই করা এবং সিস্টেম লসকে হ্রাস করার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মনে করেন, শিল্প ও বিনিয়োগ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ধরে রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করে।