সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে ডাকা দরপত্রে সর্বোচ্চ সাড়ার আশা

সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে ডাকা দরপত্রে সর্বোচ্চ সাড়া পাওয়ার আশা করছে সরকার। নতুন দরপত্র আহ্বানের পর সোমবার (১১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে এই আশার কথা জানানো হয়।

পেট্রোবাংলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন পিএসসি (উৎপাদন বণ্টন চুক্তি) সব দিক থেকে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পিএসসিতে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ফলে এবারের পিএসসিতে সবচেয়ে বেশি সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগ্রহী কোম্পানিগুলোর ব্যাপক সাড়া পাবো। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করাটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। বেশ কিছু বিষয় যুক্ত করে এটিকে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। আগ্রহীদের জন্য ৪ বছরের সার্ভে করার সুযোগ থাকছে। এরপর তারা অনুসন্ধানে যেতে আবার সময় নেবে। যারা এতদিন আগ্রহ দেখিয়েছিল তারা এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি। সমালোচনা যারা করেন তাদের মুখে ছাই দিয়ে আমরা আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ইতিবাচক জায়গা দেখাতে পেরেছি। এই যাত্রা যেন সাফল্যমণ্ডিত হয়।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বহু প্রতীক্ষার পর তেল গ্যাস অনুসন্ধানের প্রাথমিক কাজ আজ থেকে শুরু হলো। ২৪টি ব্লকে আমরা ব্রিডিং শুরু করছি। আমরা চাচ্ছি সারা বিশ্বের বিখ্যাত ও অভিজ্ঞ কোম্পানি যেন এতে অংশ নেয়। ২০১৬ সালে এই কাজ শুরু করেছিলাম। মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে করতে আমাদের তিন বছর চলে গেছে। ১৩ হাজার স্কয়ার কিলোমিটারের ডাটা এখন আমাদের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।  প্রতিযোগিতামূলকভাবে এই ব্রিডিং অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।  রমজানের পর প্রি বিড মিটিং হবে। সেখানে আগ্রহী কোম্পানিগুলো অংশ নেবে।’  

সভাপতির বক্তব্যে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, ‘এবারের পিএসসি গত কয়েকবারের তুলনায় সবচেয়ে আকর্ষণীয়। একমাসের মধ্যে প্রমোশনাল সেমিনার করবো। আগ্রহীদের যদি আলাদা কোনও ডাটা প্রয়োজন হয়, সেটি তাদের আমরা সরবরাহ করবো। সবগুলো দূতাবসে যোগাযোগ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সম্পদ আহরণে মনোযোগ দিতে হবে। শুধু অফশোর না, অনশোরেও তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রেও আমরা বিদেশি কোম্পানিদের আকৃষ্ট করতে চাই।’

স্বাগত বক্তব্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘আমরা ৫৫ আইওসির কাছে আহ্বান জানিয়েছি। জমা দেওয়ার ১৮০ দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর তা খোলা হবে। দুইটি ডাটা সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে করা হয়েছে। সেখানে থেকে ডাটা কেনা যাবে। প্রমোশনাল সেমিনার হবে ঈদের পর।’

তিনি আরও বলেন, ‘৯টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। ইকোনমিকসে বিজ্ঞাপন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রয়্যালিটি দিতে হবে না। তেল পেলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম নির্ধারণ করা হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি একেবারে মিনিমাম রাখা হবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয়, কষ্ট রিকোভারি ৭৫ ভাগ প্রতি বছর। যদি কোনও ঠিকাদার ড্যামেজ করে তাহলে দায় নিতে হবে।’

আরও পড়ুন-

অবশেষে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করলো পেট্রোবাংলা