সংকট সামাল দিতে বাড়ানো হচ্ছে এলএনজি সরবরাহ

সংকট সামাল দিতে এলএনজি সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শেষ অবধি দেশে গরমের তীব্রতা বাড়তে পারে। এজন্য এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো হবে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশে এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ প্রতিদিন বাড়িয়ে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করা হবে। এখন দুটি এলএনজি টার্মিনাল সর্বোচ্চ ব্যবহার করলে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এপ্রিলের তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৭ এপ্রিল) দেশে সর্বোচ্চ ৬০১ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়েছে।

যদিও ১ থেকে ৯ এপ্রিল পেট্রোবাংলার পরিকল্পনায় প্রতিদিন ৯৩৩ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সরবরাহ করা হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ পরিকল্পনার চেয়ে প্রতিদিন সরবরাহে ঘাটতির পরিমাণ ৩৩২ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি।  

পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জ্বালানি বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এপ্রিলের তীব্র গরম থেকে মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে। এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রে (গ্রিডে সংযুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র) প্রতিদিন ১ হাজার ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। সরবরাহের পরিমাণ আরও ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়িয়ে ১ হাজার ২৯০ মিলিয়ন ঘনফুট করা হবে।

পিডিবি বলছে, এখন তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ২ হাজার ৩১৬ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু তারা সরবরাহ পাচ্ছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সরবরাহ রেশনিং করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু সর্বোচ্চ উৎপাদন এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৭৪ মেগাওয়াট। এ কারণে প্রতিদিনই দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে।