উঠে গেলো ‘ফ্লোর প্রাইস’

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ‘ফ্লোর প্রাইস’ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় দফায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সই নির্দেশনা জারির মাধ্যমে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত,  ২০২০ সালে ১১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল। এরপর চলতি বছরের ৭ এপ্রিলে প্রথম দফায় ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও  ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও নতুন করে নির্দেশনায় উত্থান-পতনের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে বিএসইসি। এতে বলা হয়, ২০০ টাকা পর্যন্ত কোনও কোম্পানির শেয়ারে দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে।

২০০-৫০০ টাকা দামের শেয়ার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারবে কিংবা কমতে পারবে। একইভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা দামের শেয়ার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ হাজার টাকার বেশি দামি শেয়ার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে। 

উল্লেখ্য, গতবছর দেশে মহামারি করোনার প্রকোপ শুরু হলে শেয়ার বাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ার বাজারে পতন ঠেকাতে ২০২০ সালে ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।