পুঁজিবাজারে আরও বড় দরপতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

দেশের পুঁজিবাজারে আজ (১৯ অক্টোবর) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসের শুরুতে বড় উত্থান দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত ধস দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই বড় দরপতন হলো শেয়ার বাজারে। একইসঙ্গে পতনের মধ্যে থাকলো টানা সাত কার্যদিবস। টানা বড় দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম কমেছে ২৫৪টির, বেড়েছে মাত্র ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৭৬ পয়েন্ট।‌ আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ১৯৬ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বিমা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়া বাকি সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে টানা সাত কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টা বড় উত্থানের প্রবণতা অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ৮৮ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়ে যায়। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। পতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠান। ফলে বড় উত্থান থেকে দেখতে দেখতে ধসে রূপ নেয় শেয়ার বাজার।

ডিএসই’র তথ্য মতে, আজ তাদের এখানে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের ৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৩২৪ হাজার ৯০৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৫৪টির ও অপরিবর্তিত আছে ৩৫টির। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৬ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসই’র অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২০ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আজ ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার।

এদিকে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলামের পদত্যাগের গুজব ছড়িয়ে পড়ার কারণেও বিনিয়োগকারীরা এখন আতঙ্কিত। যদিও এ প্রসঙ্গে বিএসইসি’র মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘মার্কেটে চেয়ারম্যান স্যারের নামে গুজব ছড়ানো হয়েছে, যাতে শেয়ার বাজারের খলনায়করা ধরা না পড়ে।’