‘... খুলি উড়ায়া দিবে’ এবং ছাত্রলীগ থিউরি

গোলাম মোর্তোজাবিরোধী দল দমনের সাফল্যে সরকার অনুপ্রাণিত হয়েছে। গত নয় বছরে পর্যায়ক্রমে দমন-পীড়নের মাত্রা-পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, দমন-পীড়নে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনকে ব্যবহার করার নীতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করেছে সরকার।  সবক্ষেত্র নয়, আজকের আলোচনা শিক্ষাঙ্গনের মধ্যে সীমিত রাখছি।
১. আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাজী এম মকবুল হোসেন। অনেক বছর ধরে তিনি আলোচনায় নেই। কয়েক বছর আগে হঠাৎ করেই মকবুল হোসেনের সন্তান মাসুদ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। ঢাকা কলেজসূত্রে মাসুদ আমাদের সহপাঠী-বন্ধু। তখনও মকবুল হোসেনকে সেভাবে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। তিনি কেমন আছেন, সুস্থ আছেন কিনা, জানা ছিল না। তার সন্তান, আমাদের বন্ধু হারানোর শোকে তার প্রতি একটা সমবেদনা তৈরি হয়। ধারণা করছিলাম, আগের সেই মারদাঙ্গা অবস্থায় হয়তো তিনি আর নেই। থাকার কথাও নয়। তার এলাকার এমপি এখন জাহাঙ্গীর কবির নানক। মনোনয়ন পাওয়ার পর নানক পুরো এলাকায় তার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ করে আসা নানক যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দক্ষ, তার প্রমাণ রেখেছেন। মকবুল হোসেনের এলাকায়, মকবুল হোসেন আছেন কিনা, থাকেন কিনা—তাও মানুষ জানেন না।

সে কারণেই কিনা জানি না, হঠাৎ করে হাজী এম মকবুল হোসেন জানান দিলেন, তিনি আছেন। আচরণে আগের মতোই আছেন। পুত্রশোক বা অন্য কোনও কিছু তাকে একটুও বদলাতে পারেনি।

২. রাজধানীর শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান এম মকবুল হোসেন। এই মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের ওপর অনেকদিন ধরেই নানা রকম নিপীড়ন চালাচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। শুধু শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকরাও ছিলেন নিপীড়নের শিকার। ফি বৃদ্ধি, বহিষ্কার, অপমান-অসম্মান করা হতো শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাইকে। এমন নয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। মেডিক্যালের সামনে তারা অবস্থান নিয়ে বলছিল, দাবি মানা না হলে তারা ক্লাসে ফিরে যাবে না। ছাত্রদের শায়েস্তা করতে চেয়ারম্যান হাজী এম মকবুল হোসেন তার দানবীয় রূপ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের বলেছেন, ‘আমার সাথে সরকার একাত্মতা করছে। যারাই ইতরামি করবে, খুলি উড়ায়া দিবে।’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাজী এম মকবুল হোসেন আরও কিছু কথা বলেছেন। হাজী মকবুল সেসব কথা বলতে সংকোচবোধ না করলেও, লিখতে সংকোচবোধ করছি। মনে করছি, বিভিন্ন বয়সী পাঠক হয়তো এ লেখা পড়বেন, শিক্ষার্থীরা পড়বেন। তাদের সামনে মকবুল হোসেনের বলা কিছু শব্দ লেখার অক্ষরে আনা রুচিবোধের পরিচয় দেওয়া হবে না।

হাজী এম মকবুল হোসেনের পরিচয় তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি। সেই হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা, গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদে না থাকলেও। সরকার তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘খুলি উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কি স্বীকার করবে যে, তিনি এখনও দলটির নেতা? ‘খুলি উড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকির দায় কি সরকার নেবে?

দায় এড়ানোর জন্যে আওয়ামী লীগ বলতেই পারে, তিনি এখন আওয়ামী লীগের কোনও পদে নেই। তিনি যা করেছেন, বলেছেন তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারও তার হুমকি দেওয়ার দায় না নেওয়ার জন্যে বলতেই পারে, সরকারের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।

আওয়ামী লীগ বা সরকার দায় এড়ানোর জন্যে হলেও, এমন কথা বলবে কিনা, জানি না। যদি বলে, বড়ভাবে ধন্যবাদ-সাধুবাদ জানাবো। সঙ্গে কিছু বিষয় জানতে চাইবো।

ক. ‘... খুলি উড়ায়া দিবে’—এই হুমকি শিক্ষার্থীদের কে দিলো, সরকার না হাজী এম মকবুল হোসেন নিজে? সরকার যদি অস্বীকার করে, তাহলে হুমকি দিয়েছেন মকবুল হোসেন নিজে।

খ. ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই হুমকি বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা-সামর্থ্য এম মকবুল হোসেনের আছে।

গ. কেউ যদি কাউকে ‘খুলি উড়িয়ে দেওয়া’ মানে হত্যার হুমকি দেন, তা রাষ্ট্রীয় আইনে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারেন বা হত্যার হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়। রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হত্যার হুমকি দেওয়া বড় রকমের অপরাধ। এখানে একজন দু’জন নয়, কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে সাহসিকতা দেখিয়ে তর্ক করা দু্ই/জনকে ‘তুই’ সম্বোধন করে সুনির্দিষ্টভাবেও হুমকি দিয়েছেন।

ঘ. শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অপমান-অসম্মানজনক শব্দ-ভাষা ব্যবহারজনিত অপরাধের কথা বাদই দিলাম। হত্যার হুমকি, ‘খুলি উড়ায়ে’ দেওয়ার হুমকিকে কি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না? হত্যার হুমকিদাতাকে কি বিচারের আওতায় আনা হবে না?

ঙ. ‘লাশ পড়তে পারে’ টেলিফোনে এ জাতীয় কথা বলার জন্যেও মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রতি সরকার কতটা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা দেশের মানুষ দেখেছে। টেলিফোনে কথা বলার জন্যে যদি এত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে সরাসরি কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে, দু’একজনকে সুনির্দিষ্ট করে খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। এর জন্যে তো দাবি জানানোর কিছু নেই। সব সময় যে বলা হয়, আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে। এক্ষেত্রে আইনের স্বাভাবিক গতি কোন দিকে? ঘটনার দুই দিন পরও তো বোঝা যাচ্ছে না যে, আইনের গতি আছে।

৩. এবার আসি ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে। ছাত্রলীগ নিয়ে কিছু লিখতে চাই না, তবু লিখতে বাধ্য হই। কয়েকটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার প্রতিবাদ করছিল কিছু শিক্ষার্থী। এটা সরকারবিরোধী বা রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেননি। ‘ছাত্রলীগ থিউরি’ প্রয়োগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খুব কার্যকরী ‘ছাত্রলীগ থিউরি’ সিলেট, জাহাঙ্গীরনগর, ময়মনসিংহ, বরিশাল... সর্বত্র প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অপমান-অসম্মান, শিক্ষকদের ছোটখাটো পিটুনি, বুকে ধাক্কা-পকেট ছিঁড়ে দেওয়া, লাথি দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে অধ্যক্ষকে বের করে দেওয়া, পেছন থেকে মেয়েদের মৃদু স্পর্শ; এসবই ‘ছাত্রলীগ থিউরি’র অন্তর্ভুক্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতাকে ধরে উপাচার্যের রুমে নিয়ে যখন চড়-থাপ্পড় মারছিল ছাত্রলীগের নেতারা, প্রক্টর তখন রুমের এক পাশে বসে ছিলেন। এই প্রক্টর সাহেব আরেক শিক্ষককে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলেন দায়িত্য নেওয়ার পরপরই। এবার তিনি নিজে কষ্ট করে চড়-থাপ্পর বা ঘুষি দেননি। তার হয়ে ছাত্রলীগ কাজটি করে দিয়েছে। অন্য শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করার জন্যে, গালিগালাজ-হুমকি, মেয়েদের পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার থিউরি এক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেছে ছাত্রলীগ এবং সুফল পেয়েছে।

বিষয়টি একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখেন।৭০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন, ছাত্রীদের মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছে। সেই দৃশ্য অনেকে ভিডিও করছে। ছাত্রলীগ সভাপতি বলছে, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হায়রে প্রমাণ! প্রমাণের জন্যে লাঞ্ছিত করার ভিডিও দেখাতে হবে!

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু একজন ভিসি আছেন, অন্য শিক্ষকের নাক ফাটিয়ে দেওয়া প্রক্টর আছেন, প্রায় হাজার দেড়েক শিক্ষক আছেন। শিক্ষকদের সংগঠন আছে, নির্বাচন আছে। শিক্ষার্থীদের ডাকসু নেই। ছাত্রলীগ ছাত্রদের পেটালে, মিছিলে যেতে বাধ্য করলে, ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল কথা বললে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে, দেখার কেউ নেই।

একথা ঠিক যে, অধপতন সমাজের সর্বত্র হয়েছে। সাংবাদিক- সাংবাদিকতাও তার বাইরে নয়। তাই বলে ধর্ষণের ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের শারীরিক লাঞ্ছনা করেই যাবে? ধর্ষণের সেঞ্চুরিয়ানকে বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে, পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করায় ছাত্র ইউনিয়নের ওপর আক্রমণ করবে? পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েই যাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন?

৪. বাংলাদেশ ব্যাংক আটটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগকে। নজিরবিহীন অরাজকতায় অনেকে মোবাইল-ক্যালকুলেটর নিয়ে এক বেঞ্চে সাত আটজন বসে, গল্প-গুজব করে পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেক কেন্দ্রের পরীক্ষা শেষ, কোনও কোনও কেন্দ্রে প্রশ্ন তখনও পৌঁছায়নি। কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিতেই পারেননি।  এরপর বিষয়টি নিয়ে মহাকৌতুকর কথা বলেছেন পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন, ‘পরীক্ষা সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে’।

ইতোপূর্বে ঠিকাদারি নিয়ে জনতা ব্যাংকের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নিতে পারেনি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ। তৎকালীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে আদালতে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা গেছে। আদালত তাকে বলেছিল, ‘পরীক্ষা জনতা ব্যাংকের আপনি কেন আদালতে ঘুরছেন?’ প্রশ্নফাঁস হওয়ায় আদালত ফল প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তিনি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্যে আদালতে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। যিনি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ঠিকমতো চালাতে পারেননি, জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাকে আবার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বানানো হয়েছে।

সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এখন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। সাদেকা হালিম যোগ্য ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত। আশা করি, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ তিনি দক্ষতার সঙ্গে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে পরিচালনা করবেন।

ছিলাম ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা প্রসঙ্গে। আটটি ব্যাংকের প্রায় ১৭০০ পদের বিপরীতে ২ লাখের ওপরে প্রার্থীকে ঢাকায় ডেকে আনা হয়েছিল পরীক্ষার জন্যে। সেই শিক্ষিত বেকার তরুণদের আন্দোলন করে পরীক্ষা বাতিলের ব্যবস্থা করতে হলো। একটা রাষ্ট্রের, তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্ষমতা চিন্তা করেন। শিক্ষিত বেকারদের পরীক্ষা জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে নিতে পারে না। তাদের ঢাকায় ডেকে আনা হয়। একবারও চিন্তা করা হয় না, একেকজন শিক্ষিত বেকার চাকরিপ্রার্থী ঢাকায় যাওয়া-আসা এক বা দুইদিন থাকায় কত টাকা খরচ হয়? একজন বেকার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর ওপর এতে কতটা চাপ পড়ে?

৫. ‘সংবেদনশীলতা’ বিষয়টি বাংলাদেশ থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে। ১০ লাখ টাকার কম ঘুষ দিয়ে এদেশে ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি হয় না। মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতারাও এসব অভিযোগ করছেন। সরকার নীরব-নির্বিকার। অসহায় শিক্ষকরা আন্দোলন করেন, অনশন করেন। একদা এরশাদের মন্ত্রী, বর্তমান অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় আন্দোলনকারীদের কিছু দেওয়া হবে না।’ যেন তার পারিবারিক অর্থ থেকে, কাউকে দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন!

এছাড়া প্রতিবাদ করলেই ‘ছাত্রলীগ থিউরি’র প্রয়োগ, বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গনে। হত্যা, হত্যার হুমকি কোনও কিছুতেই সরকারের নির্বিকারত্বের অবসান ঘটে না। প্রতিবাদের মুখে যশোর রোডের গাছ কাটার শতভাগ অন্যায্য-অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে অটল থাকাই সরকারের বাহাদুরি।

সরকার সরব হয় তখন, যখন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে অন্য দলের কেউ।

লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক