কাশ্মিরের ইন্তিফাদা

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীইন্তিফাদা শব্দটি আরবি, ফার্সি, উর্দু তিন ভাষায় আছে। ইন্তিফাদার অর্থ সর্বাত্মক সংগ্রাম বা বিপ্লব। কাশ্মির আর ফিলিস্তিনিরা তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে ইন্তিফাদা বলে অভিহিত করে থাকেন। ইন্তিফাদা শব্দটা দিয়ে তারা তাদের মুক্তির সংগ্রামকে বোঝায়। গত ৭২ বছরব্যাপী কাশ্মিরি আর ফিলিস্তিনিরা ভারত আর ইসরায়েলের নির্মম নির্যাতনের শিকার। ইন্তিফাদায় সংশ্লিষ্ট লোকগুলো ধর্মবিশ্বাসে মুসলমান। তারাই তাদের এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ।
ফিলিপাইনেও অনুরূপ একটা মুসলিম জনগোষ্ঠী ছিল। তারাও মিন্দানাও দ্বীপে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছিলো। নূর মিসৌরী নামক এক বিপ্লবী পুরুষ মিন্দানাও দ্বীপে এ সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তারাও ৭২ বছর দীর্ঘ সংগ্রামের পর কিছুদিন আগে তাদের এলাকার পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের জন্য ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসন মানে পূর্ব-স্বাধীনতা নয়। নূর মিসৌরী এখন জীবিত নেই। তার পরবর্তী নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতা থেকে সরে পূর্ণ-স্বায়ত্তশাসনেই সম্মত হলেন।

আমার এ লেখা কাশ্মির নিয়ে। ভারত-পাকিস্তানের জন্য এটা রাজনৈতিক ইস্যু। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর কাশ্মিরের রাজা হরিসিং ভারতে যোগদান করেছিলেন, তবে এতে বহু শর্ত ছিল। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা এসব শর্ত মেনেই সংযোজিত হয়েছিলো। প্রথম প্রথম যে কোনও ভারতীয় নাগরিককে কাশ্মির যেতে হলে সীমান্ত ক্রস করার জন্য পারমিট নিতে হতো। পরবর্তী সময়ে লোকসভার সদস্য মওলানা হছরত মোহানীর প্রস্তাবক্রমে পারমিট প্রথা প্রত্যাহার করা হয়।

১৯৪৮ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যে যুদ্ধ হয় তা কাশ্মির নিয়েই। এখন কাশ্মির ভারতের অধিকারে ২ লাখ ২২ হাজার ২শ ৩৬ বর্গ কিলোমিটার আর সেখানে লোকসংখ্যা ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার (২০১১ সালের আদমশুমারি)। পাকিস্তানের অধিকারে কাশ্মির রয়েছে ১৩ হাজার ২শ ৯৭ বর্গকিলোমিটার, তাদের লোকসংখ্যা হচ্ছে ৪০ লাখ ৪৫ হাজার (২০১৭ সালের আদমশুমারি)। কাশ্মিরের আরেকটি অংশ আছে সিয়াচেন এবং আকসাই, যা চীন তার নিজস্ব ভূখণ্ড বলে দাবি করছে। ১৯৪৮ সালে কাশ্মির নিয়ে পাক-ভারতের মাঝে যে যুদ্ধ হয়েছিলো সে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিলো জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৯৪৮ সালে ভারত কাশ্মির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। জাতিসংঘের ৪৭ নম্বর প্রস্তাবে কাশ্মিরে গণভোট, পাকিস্তানের সেনা প্রত্যাহার, এবং ভারতের সামরিক উপস্থিতি ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে আহ্বান জানানো হয়। তবে পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে। তখন থেকেই কাশ্মির কার্যত পাকিস্তান ও ভারত নিয়ন্ত্রিত দুই অংশে ভাগ হয়ে যায়। কথা ছিল গণভোটে স্থির হবে কাশ্মির কি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দেবে না ভারতের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু ভারতের জওহর লাল নেহরু থেকে নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত কেউই এ গণভোট অনুষ্ঠিত হতে দেয়নি। বরং ভারত সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মির ইস্যুটি আমেরিকার সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘের কজলিস্ট থেকে বাদ দিতে সমর্থ হয়েছে।

কাশ্মিরের পাকিস্তান অধিকৃত অংশটি আজাদ কাশ্মির হিসেবে পরিচিত। সেখানে প্রেসিডেন্ট আছেন, প্রধানমন্ত্রী আছেন। এখন ভারত অধিকৃত অংশের অনেকেই চায় না যে এলাকাটি ভারতের শাসনে থাকুক। তারা চায় হয় পূর্ণ স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্তি। এজন্য তারা ইন্তিফাদা বা মুক্তির সংগ্রাম করছে। ২০১৮ সালে ভারত শাসিত কাশ্মির রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার– যাতে বিজেপিও অংশীদার ছিল। কিন্তু জুন মাসে বিজেপি জোট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, এবং তারপর থেকেই রাজ্যটি দিল্লির প্রত্যক্ষ শাসনের অধীনে। এতে সেখানে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।

মুক্তির সংগ্রামে লিপ্ত কাশ্মিরিদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র আছে। অস্ত্র না হোক দু-ভাঙা ইট হলেও আছে। এখন কাশ্মিরে ভারতের সৈন্য উপস্থিতির সংখ্যা ৫ লাখ। শুধু এতো বিপুল সংখ্যক সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে তা নয়, এখন প্রয়োজনে বোমবিংও করা হবে। নিজের জনগণের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী কার্যকলাপে সমগ্র বিশ্ব নির্বাক। শুধু মার্চের ১/২ তারিখে অনুষ্ঠিত আবুধাবির ওআইসি সম্মেলনে কাশ্মিরের ওপর একটা কড়া ভাষায় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্তও এ সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে। মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর এ বোধোদয়কে স্বাগত জানাই এবং কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হোক তা কামনা করি। ওআইসি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্যোগ নিলে মুসলিম বিশ্ব বহু বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে।

আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার উপস্থিতি প্রতিরোধের সময় পাকিস্তানের ভূমিতে বহু জঙ্গি সংগঠন গড়ে উঠেছে। তার সংখ্যা আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও তালেবানে পাকিস্তানসহ প্রায় ৩০টি। পাকিস্তান নিজের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার প্রয়োজনে এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ৩০টি সন্ত্রাসী সংগঠনকে বে-আইনি ঘোষণা করেছিলো। ছোট ছোট সংগঠনগুলো অকার্যকর হলেও জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়াবা এবং তালেবানে পাকিস্তান মজবুত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার। তাকে জড়িয়ে ভারতের তিক্ত ইতিহাস আছে। মাওলানা আজহার ভারতের জেলে ছিল। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা ভারতের কান্দাহারগামী একটা ভারতীয় বিমান হাইজ্যাক করেছিলো। সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ হিসেবে মাওলানা মাসুদ আজহারের মুক্তি চেয়েছিলো। আজহার এমনিভাবে ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। প্রচার আছে যে, এ তিন সংগঠনকে আইএসআই সহায়তা প্রদান করে থাকে এবং সামরিক প্রশিক্ষণও দেয়। আর এ তিন প্রতিষ্ঠানই কাশ্মিরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। ভারতের অভিযোগ, কাশ্মিরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাকিস্তানও অস্ত্র সরবরাহ করে।

২০১৬ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের উরি সামরিক ঘাঁটিতে জইশ-ই-মোহাম্মদের চার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিলো। এ হামলায় ভারতের ২৩ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। ওই হামলার পর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য ১৯ সার্ক সম্মেলন বন্ধ হয়ে যায়। এ হামলার ১০ দিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনী জঙ্গিদের ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়।  এর আগে ২০১৬ সালে ২ জানুয়ারি পাঠানকোটের বিমান ঘাঁটিতে আরেকটি জঙ্গি হামলা হয়েছিলো। এ হামলায়ও বিমান ঘাঁটির বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো এবং এক কর্নেলসহ পাঁচজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলো। এ হামলা করেছিলো জইশ-ই-মোহাম্মদের একটি উপ-দল। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দিল্লির পার্লামেন্ট হাউসে লস্কর-ই-তৈয়বা আরেকটা হামলা চালিয়েছিলো। ওই হামলায় ১৪ জন ভারতীয় বাহিনী সদস্য প্রাণ হারায়। ২০০৮ সালের নভেম্বরের ২৬ থেকে ২৯ মুম্বাইয়ের তাজমহল, ওবেরয় হোটেল ও রেলস্টেশনে হামলা চালানো হয়। হামলায় অংশ নেওয়া আজমল  ধরা পড়েছিলো। এ হামলায় ১৬৬ জন লোক প্রাণ হারায়। বিচারে আজমলের ফাঁসি হয়েছে।

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর লরি বহরে যে হামলা হয়েছে তাতে ৪৪ জন আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে। জইশ-ই-মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। কিন্তু যে ট্রাকটি ৩৫০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক বহন করেছিলো তা ছিল স্থানীয় একটি ট্রাক, আর যে ড্রাইভার বিস্ফোরক নিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকবহরে ঢুকে গিয়েছিলো সেই ড্রাইভারও ছিলো স্থানীয় কাশ্মিরি। সুতরাং মনে হয় এ হামলা চালিয়েছিলো ইন্তিফাদার লোকেরাই।

অবশ্য ইন্তিফাদার লোকদের সঙ্গে পাকিস্তানের নন-স্টেট অ্যাক্টরদের যোগাযোগ রয়েছে এবং কাশ্মিরের ইন্তিফাদার প্রতি তারা সহানুভূতিশীল। ১২ দিনের মাথায় ভারতীয় বিমানবাহিনী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হেনেছে বালাকোটে এবং দাবি করেছে তারা ৩০০ জঙ্গি হত্যা করেছে ও জইশ-ই-মোহাম্মদের বিভিন্ন ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। আর জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালকও এ হামলায় নিহত হয়েছে। ভারত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে যে বিবরণী দিয়েছে বিবিসি, আল জাজিরা সরেজমিন তার সত্যতা পায়নি। তারা বলেছে, একজন লোক আহত হয়েছে আর বালাকোটের জঙ্গলের কিছু গাছপালা ধ্বংস হয়েছে। বালাকোটের জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর মাদ্রাসাটি পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে।

ভারতের মিথ্যার পরিধি যদি এত ব্যাপক হয় তবে ভারত সরকারের পক্ষে তা ঢেকে রাখা তো সম্ভব হবে না। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান বলেছেন, বিমান বাহিনীর কাজ অপারেশন চালানো, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেবে সরকার। ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়ে দুটি বিমান ধ্বংস করেছে। একটা বিমান পড়েছে পাকিস্তানের অংশে এবং পাইলট অভিনন্দন পাকিস্তানির হাতে ধরা পড়ে। দ্বিতীয় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে ভারতের কাশ্মিরে এবং পাইলট নিহত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। এটি ভারতের জন্য গৌরবের ছিল না।

পিঠ মাটিতে লেগেছে এরপর মোদি জেতার ভান করে একটা সাম্প্রদায়িক হুজুগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে যার থেকে লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা লোটা যায়। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটা থেকে মোদি নির্বাচনে একটা ডিভিডেন্ট পাবেন। কিন্তু আমার মনে হয় পাকিস্তান ভারতে পাল্টা হামলা চালিয়ে বিমান বিধ্বস্ত করে এক পাইলটকে জীবিত ধরে ফেলে মোদির সব নিকাশ ফিকে করে দিয়েছে। পাইলটকে বন্দি করার দুই দিনের মাথায় ইমরান খান শান্তির কথা বলেছেন আর ধৃত পাইলটকে ভারতের হাতে হস্তান্তর করে ইমরান খান নিজের জন্য একটা সম্মানজনক ইমেজ সৃষ্টি করেছেন। সর্বোপরি ইমরান খান এখন সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় শুরু করেছেন। জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর প্রধান মাসুদ আজাহারের ভাইসহ ৪৪ জন সন্ত্রাসীকে আটক করেছেন। এখানে মোদির পাওয়া আমি মনে করি শূন্যের কোঠায়।

যারা বলছেন মোদি আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ ঘটনা থেকে ডিভিডেন্ট পাবেন, আমার মনে হয় এটা তাদের ভুল ধারণা। অন্যান্য ক্ষেত্রে মোদির ব্যর্থতার বোঝা বেশি, এ ঘটনাটাও শেষ পর্যন্ত মোদির ব্যর্থতার খাতায় জমা হবে। মোদি গত পাঁচ বছর অজ্ঞতা আর গোঁড়ামির উত্থানকে সহায়তা করেছে। ভারতে এখন গরুর চনা বিক্রি হয় এবং তা দুধের চেয়ে চড়া দামে। বৈধিক যুগে নাকি ভারতে রকেট ছিল, দেবতারা আকাশে যে বান মারামারি করতো তাই নাকি রকেট আর ৩২০ ফুট লম্বা প্লেনও নাকি ছিল। দেবতারা যে রথে করে আকাশ মর্গে বিচরণ করতো তাই নাকি প্লেন। মোদি বোম্বের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বলেছেন, ভারতে প্রাচীনকালে সার্জারির নাকি চূড়ান্ত উন্নতি হয়েছিলো, গণেশের মাথায় হাতির মাথায় লাগানো নাকি উন্নত সার্জারির নমুনা। সমগ্র ভারতটাকে উন্নত বিশ্বের কাছে হাস্যকর করে তুলেছে মোদি বাহিনী।

সংঘ পরিবার আর নরেন্দ্র মোদিরা অজ্ঞতা ও গোঁড়ামির উত্থান ঘটিয়ে ভারতকে কোথায় নিতে চায় কে জানে! সম্ভবত এ যাত্রার শেষ নকশা তাদেরও জানা নেই। ড. অমর্ত্য সেন বলেছেন, যতদিন নরেন্দ্র মোদিরা ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন তিনি ভারতে আসবেন না। এ সিদ্ধান্তটা তো নব প্রজন্মের ভারতীয় যুবকেরাও নিতে পারে।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

bakhtiaruddinchowdhury@gmail.com