এটা কল্পলোকের কোনও কবির কল্পনার জাদুস্পর্শে আঁকা কোনও আবেগের চিত্রকল্প নয়, এটা এক ব্রিলিয়ান্ট দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কোনও বিরল মনীষার অমোঘ ভবিষ্যৎবাণী। তাই,বঙ্গবন্ধু সমকালের নায়ক হয়েও আজ মহকালের মহানায়ক। কালের বেদিতে বাস করেও কালোত্তীর্ণ কিংবদন্তি। কিন্তু কী এমন রাজনীতির জাদুমন্ত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল, যা তাঁকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অন্তহীন বহমানতার সমান্তরালে ইতিহাসের মহানায়কে পরিণত করেছে? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিস্তর লেখালেখি-গবেষণা হয়েছে এবং হবে আরও শত শত বছর কত শত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। আমি এ প্রবন্ধে আমার নিজের ভাবনাগুলোকে গভীর বিশ্লেষণী চিন্তায় উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি মূলমন্ত্র আসলে কী? একজন একান্তই মাটিবর্তী মানুষ হয়ে, সমাজের বহুমুখী ক্রিয়া, প্রক্রিয়া এবং মিথস্ক্রিয়ার ভেতর দিয়ে বেড়ে ওঠা রাজনীতিক হিসেবে, সমাজ ও রাষ্ট্রের একেবারেই প্রান্তের একজন মানুষ হয়েও কীভাবে তিনি কেন্দ্রের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং গোটা জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়ার নেতৃত্ব দেন কীসের শক্তিতে? এর পেছনে রাজনীতির মূলমন্ত্র কী ছিল? এ নিবন্ধে সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বহুমাত্রিক স্মৃতিচারণ, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অসংখ্য গ্রন্থ, বহুমাত্রিক আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন রকম ভাষণ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের পার্লামেন্টে প্রদত্ত বিভিন্ন বক্তৃতা, বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, এবং ১৯৪৭ থেকে নানান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রভৃতির গভীর পাঠ এবং পাঠোদ্ধার থেকে আমার মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি মূলমন্ত্র ছিল মূলত: ‘দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম এবং তীব্র ভালোবাসা’। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর মূল রাজনৈতিক শক্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতি এদেশের মানুষের তীব্র ভালোবাসা, নিঃশর্ত ও নিঃস্বার্থ আস্থা ও বিশ্বাস এবং নির্ভেজাল আনুগত্য। একজন সত্যিকার গণমানুষের রাজনীতিকের জীবনে এর চেয়ে বড় কোনও সম্পদ নেই। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক তাঁর ‘দ্য স্টেট অব দ্য নেশন’ গ্রন্থে লিখেছেন, একটি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একটি স্বপ্ন প্রয়োজন এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভেতর থেকে জ্বলে ওঠা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু এ দু’টো কাজই করেছিলেন। তিনি একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাঙালিদের সবার ভেতর বপন করতে পেরেছিলেন এবং সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সবাইকে জ্বলে উঠতে উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন। এটাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি মূলমন্ত্র। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ-জাত-পাত-শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে অকৃত্রিম ভালোবাসা সেটা তরুণ বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে পূরিপূর্ণ ছিল। যেমন, ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি পাকিস্তানের আইন পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার পাওয়া উচিত বলে জোরালো বক্তব্য রাখেন। ১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে একটি বিরাট ছাত্র-সমাবেশে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে তিনি বলেন, ‘...যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা রক্ত দিয়ে আমাকে মুক্ত করে এনেছে, মধ্যরাতে এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আল্লাহর নামে শপথ নিয়ে বলছি, তাদের রক্তের ঋণ আমি শোধ করবোই।’
এই যে একজন রাজনৈতিক নেতার কমিটমেন্ট এবং দেশের মানুষের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা, এটাই বঙ্গবন্ধুকে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণেও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর তীব্র ভালোবাসা প্রকাশ পায়। তিনি যখন বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই।’...কিংবা ‘আমরা জামা কেনার পয়সা দিয়ে অস্ত্র পেয়েছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সে অস্ত্র আমার গরিব-দুঃখী মানুষের বিরুদ্ধে-তার বুকের উপর হচ্ছে গুলি। ...দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপর, আমার বাংলার মানুষের বুকের উপর গুলি করা হয়েছে। কীভাবে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’
এভাবে তিনি মানুষের কথা, মানুষের দুঃখের-কষ্টের কথার বারবার বলেছেন তাঁর নানান বক্তৃতায়,সভা-সমাবেশে এবং পার্লামেন্টে। যার ভেতর দিয়ে তার তীব্র দেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, যা তাঁকে সাত কোটি মানুষের স্বপ্নের সারথীতে পরিণত করেছে।
১৯৭০-এর নির্বাচনের আগে ‘শেখ মুজিবুর রহমানের নির্বাচনি আবেদন’ শিরোনামে একটি লিফলেট ছাপানো হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য প্রকাশিত হয়, সেখানেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জনগণের গভীর আত্মিক সম্পর্কের চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন, ‘আমি ক্ষমতার প্রত্যাশী নই। কারণ ক্ষমতার চেয়ে জনগণের দাবি আদায়ের সংগ্রাম অনেক বড়।... কোনও নেতা নয়, কোনও দলপতি নয়, আপনারা-বাংলা বিপ্লবী, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও সর্বহারা মানুষ রাতের অন্ধকারে কারফিউ ভেঙে মনু মিয়া, আসাদ, মতিয়ূর, রুস্তম, জহুর, জোহা, আনোয়ারের মতো বাংলাদেশে দামাল ছেলেমেয়েরা প্রাণ দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে আমাকে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কবল থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিনের কথা আমি ভুলে যাই নাই, জীবনে কোনোদিন ভুলবো না, ভুলতে পারবো না। জীবনে আমি যদি একলাও হয়ে যাই,...আবার যদি মৃত্যুর পরোয়ানা আমার সামনে এসে দাঁড়ায়, তাহলেও আমি শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করবো না। আপনারা যে ভালোবাসা আমার প্রতি অক্ষুণ্ন রেখেছেন, জীবনে যদি কোনোদিন প্রয়োজন হয়, তবে আমার রক্ত দিয়ে হলেও আপনাদের এ ভালোবাসার ঋণ আমি পরিশোধ করব।’ এই যে জনগণের সঙ্গে একজন নেতার ডায়ালগ এবং পারস্পরিক সম্পর্কের শক্ত-মজবুত-টেকসই ভিত্তি এটাই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক শক্তির মূলমন্ত্র। যে নেতাকে মানুষ নিজের স্বপ্ন-দর্শন, আশা-আকাঙ্ক্ষা, এবং আশা-ভরসার অনিবার্য মোহনা হিসেবে নির্মোহভাবে বিশ্বাস করে, এবং নির্ভেজাল আস্থা রাখে, সে নেতা কালের গর্বে কোনোদিন বিলীন হয়ে যেতে পারেন না। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু সমকালের নেতা হয়ে মহাকালের বোরাকে চড়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার নিত্য বহমানতার সমান্তরালে স্বমহিমায় প্রবহমান।
১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান এবং আরেকটি অসাধারণ বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, ‘আপনার জানেন আমার ফাঁসির হুকুম হয়েছিল। আমার সেলের পাশে আমার কবর খোঁড়া হয়েছিল।... আমি ঠিক করেছিলাম, আমি নতি স্বীকার করব না। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলবো, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত্রে পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দী হওয়ার পূর্বে আমার সহকর্মীরা আমাকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। আমি তখন তাঁদের বলেছিলাম, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে বিপদের মুখে রেখে আমি যাবো না। মরতে হলে আমি এখানেই মরবো। বাংলা আমার প্রাণের চেয়েও প্রিয়।’ এর চেয়ে তীব্র দেশপ্রেম আর কী হতে পারে। এটাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল শক্তি। সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, এবং তীব্র দেশপ্রেম এবং দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধই বঙ্গবন্ধুকে কালের নায়ক হওয়া সত্ত্বেও মহাকালের মহানায়কে পরিণত করেছে।
১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে বঙ্গবন্ধু একটি অসাধারণ বক্তৃতা করেছেন। সেখানে একপর্যায়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা আমাকে ভালোবাসেন, আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমি যাবার বেলায় বলেছিলাম, আমি যদি মরে যাই, আমি যে ডাক দিয়ে যাবো, আমার বাংলার মানুষ তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। আপনারা তা করেছেন। আপনার বিনা অস্ত্রে জালেমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ধ্বংস করে দিয়েছে আমাদের সবকিছু। ইনশাআল্লাহ সোনার বাংলা একদিন হাসবে। ইনশাআল্লাহ সোনার বাংলার মানুষ একদিন পেটভরে খেতে খাবে। ইনশাআল্লাহ বাংলার মানুষ আবার সুখী হবে।’
বঙ্গবন্ধুর সে প্রত্যাশা এবং সে ওয়াদা আজ পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমবর্ধমান। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমবর্ধমান। মাথাপিছু আয় এবং জিডিপির পরিমাণও ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এভাবেই মানুষের সাথে একজন নেতার যে পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গা সেটাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি। বঙ্গবন্ধু যখন বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভালোবাসেন-আমি আপনাদের ভালোবাসি’—একজন সত্যিকার নেতার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং এটাই সবচেয়ে বড় শক্তি যা বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকার গণমানুষের নেতা করে তুলেছিল। তাই বঙ্গবন্ধু বাংলার নেতা হয়েও বিশ্বনেতা। ফিদেল ক্যাস্ত্রো তাই বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।’
পরিশেষে বলবো, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, নীতি-নৈতিকতাবোধ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা,ছাত্র-যুবাদের মনস্তত্ত্ব উপলব্ধির ক্ষমতা, দল পরিচালনার দক্ষতা, নেতাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা, সময়ের চাহিদা ও যুগের যন্ত্রণা উপলব্ধির তীব্র রাজনৈতিক বুদ্ধিদীপ্ত মগজ, রাজনৈতিক গতিপ্রবাহ পাঠের নিখুঁত মেধা, এবং ইতিহাসের পথপরিক্রমায় নিজেকে সংযুক্ত করে ইতিহাসের বাঁকবদলে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ক্ষমতা প্রভৃতি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নানান গুণাবলি যা বঙ্গবন্ধুকে মহাকালের মহানায়কে পরিণত করেছে। কিন্তু আমার মনে হয়, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূলমন্ত্র এবং মূলশক্তি ছিল বাংলার প্রতি এবং বাংলার মানুষের প্রতি তাঁর তীব্র ভালোবাসা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাংলার জনগণের গভীর ভালোবাসা এবং অবিচল আস্থা এবং বিশ্বাস।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটি ধ্রুপদি আপ্তবাক্য আছে ‘A leader is one who knows the way, goes the way, and shows the way’। বঙ্গবন্ধুই ছিলেন সেরকম সত্যিকার নেতা, কারণ তিনি পথ চিনতেন, সে পথে যেতেন এবং অন্যদের সে পথে পরিচালিত করতেন। এভাবেই নানান চড়াই-উৎরাই পার হয়ে বাংলাদেশ একদিন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এ এক মহাকাব্যিক আখ্যান। আর বঙ্গবন্ধু সে মহাকাব্যের স্রষ্টা মহাকবি। কবি জসীমউদ্দীন ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় ‘বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে লেখা একটি কবিতায় লেখেন:
জীবন দানের প্রতিজ্ঞা লয়ে লক্ষ সেনানী তব পাছে,
তোমার হুকুম তামিলের লাগি সাথে তব চলিয়াছে।
রাজভয় আর কারা শৃঙ্খল হেলায় করেছ জয়,
ফাঁসির মঞ্চে মহত্ত্ব তবু কখনো হয়নি ক্ষয়।
বাংলাদেশে মুকুটবিহীন তুমি প্রমূর্ত রাজ,
প্রতি বাঙালির হৃদয়ে তোমার তখ্ত তাজ।
লেখক: নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।