খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে

আহসান কবিরশ্রদ্ধেয় ড. আতিউর রহমান,
আপনাকে সালাম। আপনার কাছে লেখা চিঠিটার শিরোনামটা ধার (এটাকে হয়তো বলা যেত হ্যাক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক-এর জায়গা থেকে সরে এসে এখন বলছে চুরি!) করেছি কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের কাছ থেকে। ‘খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে’ আনিসুল হকের প্রথম কবিতার বইয়ের নাম। আপনাকে জানার পর থেকেই আপনাকে সুন্দর মনে হতো, এখনও হচ্ছে। পদত্যাগ বাংলাদেশের রাজনীতির ঐতিহ্য নয়, পদ আঁকড়ে রাখাই ঐতিহ্য। আপনি সুন্দর বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, যদিও আপনার কাছ থেকে আমি এটা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই আশা করেছিলাম। দুর্জনেরা আপনার পদত্যাগের পর বলে বেড়াচ্ছেন, আপনি নাকি পদত্যাগ করতে চাননি! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের বিবিধ চাপের কাছে শেষমেষ আপনি নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন।
শ্রদ্ধেয়, আপনাকে জানার পর থেকে আমি ক্রমাগত আপনার ওপর মুগ্ধ হয়েছি। আমার চোখে ভেসে উঠেছে সেই দিঘলী গ্রামের হাটের দৃশ্য। আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় আপনি প্রথম হয়েছেন। জামালপুরের সেই গ্রামের হাট থেকে মানুষের ভালোবাসা আর দোয়ার টাকায় আপনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পেরেছিলেন। মেধাবী সাধারণ একজন মানুষ, এরপর ক্রমাগত আপনি অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। আপনার ক্লাসটিচার আপনার নাম বদলে দিয়েছিলেন। আতাউর থেকে আপনি হয়ে যান আতিউর। এরপর থেকে আপনাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট ছিল আপনার, ক্যাডেট কলেজে কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে! আপনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতে মেধা তালিকায় পঞ্চম ও নবম হয়েছিলেন। আপনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জনতা ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, এরচেয়েও অনেক গুরুত্ব পূর্ণপদে আপনি আসীন হয়েছিলেন। আপনি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর হন তখন মনে হয়েছিল এই পদে সম্ভবত শুধু আপনাকে কিংবা সাহিত্যিক লুৎফর রহমান সরকারকেই মানায়!

আপনাকে রবীন্দ্রপ্রেমী হিসেবেও সুন্দর লাগতো; মানাতোও দারুন! নোবেল বিজয়ের পর প্রাপ্ত টাকা রবীন্দ্রনাথ রেখেছিলেন এক কৃষি ব্যাংকে। ঘটনাটা আপনার কাছে সুন্দর লেগেছিল। এ কারণে কিনা জানি না, আপনি মাত্র দশ টাকা দিয়ে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারার ব্যবস্থা করেছিলেন। জানি না সেই ছোট্ট আপনার দিকে তাকিয়ে থাকা সে দিনের সেই হাটবারের  স্বপ্নবান মাটির মানুষগুলোর মুখ তখন আপনার মনে পড়ছিল কি না! আপনি বাচ্চাদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং আর ব্যাংকের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় বিসিএসের চেয়েও স্বচ্ছ পদ্ধতি অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন। সেই আপনাকে যখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করতে হলো, তখন কিছু প্রশ্ন জেগেছে মনে। জানি না, এই প্রশ্নের উত্তর কখনও দেশবাসী জানতে পারবে কি না!

এক. একজন সেনাপতি কখনও তার যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে চলে যায় না। আপনি কেন বিদেশ গিয়েছিলেন? কারও-কারও কাছে এটাই একটা বিরাট প্রশ্ন! না কি একা একাই কোনও এক অজানা শত্রুর সঙ্গে বোঝাপড়া করতে গিয়েছিলেন? আবার আপনি আপনার বক্তব্যে বলছেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে জানিয়ে গিয়েছিলেন! এত বড় একটা অঘটনের পরেও বিদেশভ্রমণে গিয়ে নিজেকে আপনার ক্লান্ত মনে হয়নি? অপরাধ বোধ জন্মায়নি? নাকি চেষ্টা করেছিলেন মেয়াদের শেষদিন পর্যন্ত গভর্নর হিসেবে টিকে থাকতে?

দুই. ব্যাংক কবিতার মতো নয়। রবীন্দ্রনাথ যে কৃষি ব্যাংকে টাকা রেখেছিলেন, সেটাই এক সময়ে দুস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। আপনি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তখন সোনালী ব্যাংকে (২০১২ সালে) আড়াই হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। প্রায় একই সময়ে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে এবং তিন হাজার ছয়শত কোটি টাকা লোপাট হয়। বেসিক ব্যাংকে চার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনা দেশময় তোলপাড় তোলে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেও জনতা ব্যাংকে ২৫১ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পরে। আপনার কি মনে হয় না আপনার আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল? তবে আপনার দুর্ভাগ্য এই যে চার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, চার হাজার কোটি টাকা এমন বেশি কিছু না! কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আশি কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তিনি খুব বেশি সমালোচনা মুখর হয়ে উঠেছেন!

তিন. ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে (?) প্রথম হামলে পড়েছিল হ্যাকার, চোর অথবা লোপাটকারীরা। শ্রদ্ধেয় আতিউর রহমান আপনি কি সেটা জানতে পারেননি? ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে বারটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের (সুইফট হচ্ছে ব্যাংকের আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান প্রদানকারী আন্তর্জাতিক একটা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা) বার্তা ব্যবহার করে ৩৫টি অর্থ স্থানান্তরের অ্যাডভাইস পাঠানো হয়েছিল অ্যামেরিকার ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (এই ব্যাংকে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বড়-বড় প্রতিষ্ঠান তাদের রিজার্ভ বা সঞ্চয় জমা রাখে। এই টাকা দিয়ে বিদেশি ঋণ শোধ, কেনাকাটার দাম পরিশোধ, এলসির টাকা পরিশোধসহ আরও অনেক কিছুর লেনদেন হয়ে থাকে) ৩৫টির ভেতর ৫টি বার্তা বা পরামর্শ কার্যকর হয়ে গেলে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৮০৮ কোটি টাকা চলে যায় ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কাতে। আপনি কি জানতেন না এসব? জানলে কখন সেটা জানতে পারেন? জানার সঙ্গে সঙ্গে আপনি সেটা অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে জানাননি কেন? যদি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েও থাকেন তাহলে তার নির্দেশনা কী ছিল? ৫ ফেব্রুয়ারির পর ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভা হয়েছে। তখন এই প্রসঙ্গ তোলা হয়নি কেন? ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ অডিট বোর্ডের সভা হয়েছে। তখনও প্রসঙ্গটা চেপে রাখা হয়েছিল কার স্বার্থে? শ্রদ্ধেয় ড. আতিউর রহমান আমরা কি এসব কখনও জানতে পারব না? নাকি অনেক ব্যর্থতার পরেও আপনি কারও নির্দেশ মানতে গিয়ে বলির পাঁঠা হয়েছেন?

 

 

চার. ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকে ৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৫ মে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এর টাকা যেটা কিনা ছিল ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্কে, সেই লোপাটের টাকা দিয়ে এই অ্যাকাউন্টগুলোয় প্রথম টাকা লেনদেন হয় ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তাহলে কি অন্তত এক বছর ধরে এই টাকা লোপাটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল? ফিলিপাইনের ডেইলি ইনকোয়ার পত্রিকা প্রথম রিপোর্ট না করলে বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর মানুষ হয়তো এই ঘটনা সহজে জানতে পারত না। ডলারগুলো জমা হয় ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায়। রিজাল ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোসকে দেওয়ার জন্যও নাকি প্রচুর ডলার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। খুব দ্রুত এই ডলার ক্যাসিনোতে চলে যায় এবং সেখান থেকে চলে যায় হংকংয়ে। আপনি কি জানতেন না এসব? যদি নাই জানেন তাহলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন পিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ব্যাংকো সেন্ট্রাল)-এর গভর্নর আমানডো টেটাংকোর কাছে কেন চিঠি লিখে সহায়তা চেয়েছিলেন?

পাঁচ. বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস অব দ্য ডিলিং রুমেই এই ঘটনা ঘটেছিল। ৫ ফেব্রুয়ারির পর ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬-তে যখন দেখা গেল এই রুমের ১১টা কম্পিউটার ও প্রিন্টার নষ্ট, ভিডিও ফুটেজও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে তখন আপনি কি এসব জানতে পেরেছিলেন? জানলে ব্যবস্থা নেননি কেন? কোনও কিছু আড়াল করতেই কি সব কিছু গোপন রাখা?

পদত্যাগ করার সময় যে বক্তৃতা আপনি দিয়েছেন, তাতে আপনি বলেছেন আপনি পুলিশ ও র‌্যাবকে জানিয়েছেন, প্রধান মন্ত্রীকেও চিঠি লিখে জানিয়েছেন। ফলাফল কি এই যে, কেউ মারা গেলে  চল্লিশ দিন পরে যেমন চেহলাম হয়, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আটশ কোটি টাকা লোপাটের চল্লিশ দিন পরে মামলা করা হয়েছে মতিঝিল থানায়। আসামি অজ্ঞাত!

ছয়. একটি প্রতিবেদনে মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে ম্যালওয়ার বসিয়ে সম্ভবত এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনেও এমন বলা হয়েছে। রয়টার্স ও বিবিসির মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমের কেউ কেউ, পরিচালনা পর্ষদ কিংবা তার চেয়েও ক্ষমতাধর কারও সাহায্য ছাড়া এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিল না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রেই জানা গিয়েছিল, বেশ কয়েকজন নজরদারিতে আছেন। যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে নাকি যুগ্ম-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা ও মিজানুর রহমানও রয়েছেন। গভর্নর সাহেবের পদত্যাগের পর জানা গেল যে দুজনকে অপসারণ করা হয়েছে তারা এই দুজন নন। আসলে কারা  আছেন, এই চুরি বা হ্যাকিংয়ের সঙ্গে? শ্রদ্ধেয় ড. আতিউর রহমান, আপনি নিজে কি তাদের শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে পারতেন না? আপনার নীরব থাকার মানে কি এই যে, যারা এসব করেছে তাদের সেইফ জোনে চলে যেতে সাহায্য করা হয়েছে?

সাত. শ্রদ্ধেয় ড. আতিউর রহমান আপনি এসেছিলেন ডিজিটাল সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য। সারা পৃথিবীতে টাকা তোলার জন্য ম্যাগনেটিক পদ্ধতি ক্রমশ বাদ দেওয়া হচ্ছে। টাকা তোলার আধুনিক পদ্ধতি এখন চিপস পদ্ধতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন আহমেদ প্রশ্ন তুলেছেন চিপস পদ্ধতি না এনে সারাদেশে কেন এটিএম বুথের নামে ম্যাগনেটিক পদ্ধতিটাকেই ছড়িয়ে দেওয়া হলো? কার স্বার্থে এটা করা হয়েছিল? এটিএম বুথ থেকে টাকা লোপাটের ঘটনাও ঘটেছে শ্রদ্ধেয় ড. আতিউর রহমান, আপনার আমলে!

আট. আপনি আপনার বক্তৃতায় জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করার জন্য ফায়ার আইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! রাকেশ আস্তানার সঙ্গেও নাকি কথা হয়েছে। কে এই রাকেশ আস্তানা? পরিচয়ে জানা যাচ্ছে তিনি নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শক। কতটা যাচাই করা হয়েছে তাকে? ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্সের প্রধান নির্বাহী এই ভদ্রলোক এক সময়ে বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক উপ-প্রধান ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এফবিআই ৮০৮ কোটি টাকা লোপাটের ব্যাপারটা নিয়ে তদন্তে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। শ্রদ্ধেয় ড. আতিউর রহমান বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাচ্ছি, এফবিআইকে মানা করে ফায়ার আই বা রাকেশ আস্তানাকে জড়ানো হয়েছে কার স্বার্থে? কোনও কিছু লুকোনোর জন্য? ফায়ার আই এর তদন্তের ব্যাপারে কারও কি কোনও ধারণা আছে? নাকি যারা নিয়োগ দেন, ফায়ার আই তাদের স্বার্থেই কাজ করে দেয়? আপনার আবেগী বক্তৃতা, বিদায় বেলার কান্নার চেয়ে দেশের স্বার্থে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুব জরুরি!

না কি বর্তমানের আওয়ামী লীগের নেতা নূহ-উল-আলম লেনিন তার ফেসবুকে যা লিখেছেন, সেটারও সত্যতা আছে? জনাব লেলিন লিখেছেন, আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থ নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন। দেশ বিদেশের পুরস্কার ও পদক পাওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে প্রভাব খাটিয়েছেন! বেসরকারি ব্যাংকের অর্থেরও অপচয় করেছেন। তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেলে, তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে!

শ্রদ্ধেয় আতিউর রহমান, আমি এখনও মনে করি, আপনি সুন্দরের পক্ষেই থাকবেন। আশা করি দেশবাসী একদিন এই সব প্রশ্নের জবাব পাবে। আপনি আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে সহায়তা করবেন। জানি না সাগর-রুনীর হত্যাকারীদের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই টাকা লোপাটের ঘটনার হোতারাও আজীবন অধরাই থেকে যাবেন কিনা!

আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায়

আহসান কবির

 লেখক: রম্যলেখক