অধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বেই মনিরুলকে খুন করা হয়েছে

সিরাজগঞ্জসিরাজগঞ্জে যমুনার চরে অধিপত্য বিস্তার ও আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বেলকুচির রাজাপুরের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামকে (২৬) খুন করা হয়েছ বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা আজিজুল শেখ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বিপুল ভোটে রাজাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়। চরে এবং ইউনিয়ন পরিষদে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে সর্বহারারা মনিরুলকে খুন করেছে।’

গত শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনার চক বয়ড়ার চর থেকে মনিরুলের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত পাওয়া যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বেলকুচি উপজেলার চক-বয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজল শেখ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে, নিহতের সঙ্গী ও প্রত্যক্ষদর্শী চাচাতো ভাতিজা রাসেলকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ সদর হাসপাতালে গিয়ে রাসেলের সঙ্গে কথা বলেন। দুপুরে সদর থানা পুলিশ চরের ওই উল্লেখিত ঘটনাস্থলের পাশে গিয়ে একটি কালাই ক্ষেত থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় একটি পিস্তল উদ্ধার করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, ‘রাজাপুর ইউপি সদস্য ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম শুক্রবার তার ভাতিজা রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে যমুনার চরের চক বয়ড়ার চরে সর্বহারারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় রাসেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেও সে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।’

জানা যায়, নিহত মনিরুল নিজেও একজন নৌ-ডাকাত ছিল। যমুনার চরে সর্বহারা ও অপরাধীদের সঙ্গে তার বেশ সখ্যতাও ছিল। জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় তার নামে অস্ত্র, নৌ-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ জানান, ‘মনিরুল আমাদের দলের কোনও সদস্য নন। সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গত দেড় বছর আগে কমিটি বাতিল করা হয় এবং মনিরুলকে বহিস্কার করা হয়।’

/এসএনএইচ/