শেরপুর বন্যহাতির আক্রমণে গৃহবধূসহ নিহত ৩

ঝিনাইগাতী সীমান্তে একদল বন্য হাতিশেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে আবারও বন্যহাতির আক্রমণে এক গৃহবধূসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পানবর গ্রামে একদল বন্যহাতি হামলায় তিনজন নিহত হয়।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- পানবর গ্রামের সুন্নত আলীর স্ত্রী আহেতন নেছা (৪০), একই গ্রামের ছামিউল হকের ছেলে কালা জহুর (৫৫) এবং গুরুচরন দুধনই গ্রামের শাহ মাহমুদের ছেলে আব্দুল হাই (৪২)।

এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী পাহাড়ী গ্রামগুলোতে হাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একদল বন্যহাতি ওই গ্রামে খাবারের সন্ধানে ধান ক্ষেতে নামে আসে। এ সময় গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে হাতিরদলকে তাড়া করলে হাতির দল আশপাশের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এতে ঘরের ভেতর লুকিয়ে থাকা আহেতন নেছা হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান। এরপর হাতিরদল কালা জহুর ও আব্দুল হাই নামে আরও দুই কৃষককে আক্রমণ করে হত্যা করে।

এ নিয়ে গত ৪১ দিনে বন্যহাতির আক্রমণে শেরপুর সীমান্তে সাতজন নিহত হলেন। গত ১০ অক্টোবর ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের উত্তর বাকাকুড়া গ্রামের মৃত কেন্থা রাম সাংমার ছেলে বাশিরাম চাম্বুগং (৫৭) , ২ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার সিংঙ্গাবরুনা ইউনিয়নের জুলগাঁও পাহাড়ি গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া (৫০), ২৩ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ছোট গজনী গ্রামের কৃষক ললেন মারাক (৫৫) ও ২৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়ার পানবর গ্রামের টিবিরন বেগম (৪৫) বন্যহাতির আক্রমণে নিহত হন। একই সঙ্গে বন্যহাতির দল সীমান্তের অসংখ্য জমির ধান ক্ষেত, বনের গাছ-পালা ও সীমান্তবাসীর ঘর-বাড়ি’র ব্যপক ক্ষতি-সাধন করেছে।

/এসএনএইচ/