ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- পানবর গ্রামের সুন্নত আলীর স্ত্রী আহেতন নেছা (৪০), একই গ্রামের ছামিউল হকের ছেলে কালা জহুর (৫৫) এবং গুরুচরন দুধনই গ্রামের শাহ মাহমুদের ছেলে আব্দুল হাই (৪২)।
এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী পাহাড়ী গ্রামগুলোতে হাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একদল বন্যহাতি ওই গ্রামে খাবারের সন্ধানে ধান ক্ষেতে নামে আসে। এ সময় গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে হাতিরদলকে তাড়া করলে হাতির দল আশপাশের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এতে ঘরের ভেতর লুকিয়ে থাকা আহেতন নেছা হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান। এরপর হাতিরদল কালা জহুর ও আব্দুল হাই নামে আরও দুই কৃষককে আক্রমণ করে হত্যা করে।
এ নিয়ে গত ৪১ দিনে বন্যহাতির আক্রমণে শেরপুর সীমান্তে সাতজন নিহত হলেন। গত ১০ অক্টোবর ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের উত্তর বাকাকুড়া গ্রামের মৃত কেন্থা রাম সাংমার ছেলে বাশিরাম চাম্বুগং (৫৭) , ২ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার সিংঙ্গাবরুনা ইউনিয়নের জুলগাঁও পাহাড়ি গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া (৫০), ২৩ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ছোট গজনী গ্রামের কৃষক ললেন মারাক (৫৫) ও ২৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়ার পানবর গ্রামের টিবিরন বেগম (৪৫) বন্যহাতির আক্রমণে নিহত হন। একই সঙ্গে বন্যহাতির দল সীমান্তের অসংখ্য জমির ধান ক্ষেত, বনের গাছ-পালা ও সীমান্তবাসীর ঘর-বাড়ি’র ব্যপক ক্ষতি-সাধন করেছে।
/এসএনএইচ/