শুধু ডিসি সড়ক নয়, ঈদগাঁও বাজারের উপ-সড়কগুলোরও একই অবস্থা। বেশষ করে সামান্য বৃষ্টিতে আলমাছিয়া মাদরাসা সড়ক, জাগিরপাড়া সড়ক, ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী সড়ক, কবি নুরুল হুদা সড়ক, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে পানি জমছে।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘ঈদগাঁও বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব পায়। তার সিকি পরিমাণও উন্নয়ন হয় না। বরাবরই ঈদগাঁও বাজার অবহেলিত। ঐতিহ্যবাহী ‘ডিসি সড়ক’ রক্ষায় সর্বদলীয় ঐক্যমত গড়ে তোলা হবে।’
আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা এছাড়াও ডিসি সড়ক হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষকে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজ করতে ঈদগাঁও-জালালাবাদ-চৌফলদন্ডি-খুরুশকুল হয়ে কক্সবাজার যেতে হয়। আর কক্সবাজারের অনেক মানুষ সময় বাঁচাতে এ সড়ক পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ঈদগাঁও স্টেশন থেকে বাজারের শেষ মথা পর্যন্ত পুরো সড়কটিই ছোট বড় গর্তে ভরা। পাঁচ মিনিটের পথ যেতে অধাঘণ্টা সময় লাগে। বিকল্প সড়ক না থাকায় এ সড়কে সবসময় যানজট লেগে থাকে। দীর্ঘদিন ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না হওয়ায় বাজারের ড্রেনগুলো ‘ময়লার ডিপো’তে পরিণত হয়েছে। কাদা-ময়লায় ভরা ড্রেনের পানি সড়কে এসে জমছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হোসেন আহমদ, শফিউল আলম ও আলী আকবর অভিযোগ করে বলেন, ‘বাজারটি দুইটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন হওয়ায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। দেখার কেউ না থাকায় বাজারের প্রতিটি অলিগলির সড়কের উভয় পাশে বেইজ লেভেল ৩-৫ ফুঁট উঁচুতে অপরিকল্পিত ভবন, শপিংমল, দোকানপাট নির্মিত হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি নালায় পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডিসি সড়কের বর্তমান অবস্থার সম্পর্কে আমি অবগত নয়। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, ‘ঈদগাঁও বাজারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, যানজট সমস্যা, ড্রেনেজ, পয়ঃনিষ্কাশন, অসমাপ্ত ডিসি সড়ক সংস্কারসহ নানাবিদ সমস্যা সমাধান ও অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরির করা হচ্ছে। ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে খুব শিগগিরই অবৈধ দখলদারের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
/এসএনএইচ/