বায়া সেফ হোমের আরও ৬ জন হাসপাতালে, মেডিক্যাল টিম গঠন

rajshahiরাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া সরকারি সেফ হোমের আরও ৬ নারী-শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে।

রামেকের জরুরি বিভাগে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মাহবুব আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ৬ জনকে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়।’

অসুস্থ হেফাজতিরা হলেন- রাশিদা (৩০), আম্বিয়া (৪০), অজিফা (১৮), পারভিন (৩০), কুলসুম (৮) ও তানিয়া (৬)। তাদের  হাসপাতালের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়াও শুক্রবার রাতে ওই সেফ হোমের ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরও আগে গত বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনতি রানী (২৫) নামে এক নারী।

খবর পেয়ে শনিবার সকালে সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক জুলফিকার হায়দার সেফ হোম পরিদর্শন করেন। এদিকে একের পর এক হেফাজতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বিষয়টির কারণ উদঘাটনে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন সেফ হোমের পরিচালক আবু তাহের।

আবু তাহের বলেন, ‘সেফ হোমে যারা আছেন, তাদের প্রায় সবাই মানসিক প্রতিবন্ধী। এ কারণে নোংরা পানি পান করায় এদের মধ্যে থেকে কেউ একজন প্রথমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এখন সেটি ছড়িয়ে পড়ছে অন্যদের মাঝেও।’

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেফ হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতিদের খাবার সরবরাহ, চিকিৎসা প্রদান ও পথ্য সরবরাহে নানা অনিয়ম করছেন। তাদের সরবরাহ করা খাবারও অত্যন্ত নিম্নমানের। এছাড়া তারা হেফাজতিদের বিভিন্নভাবে নির্যাতনও করে থাকেন। তাদের রাখা হয় নোংরা ও অস্বাস্থকর পরিবেশে। এ জন্য তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপরে সেফ হোমের পরিচালক আবু তাহের বলেন, ‘এখানে কোনও অনিয়ম হয় না। সব কিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে অফিসের কাজকর্ম করা হয়।’

/এসএনএইচ/