মামলার বাদী শেখ আজিজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘ঘটনাস্থল যেহেতু চট্রগ্রাম, আর বাদীসহ মামলার বেশির ভাগ আসামির অবস্থান খুলনায়। তাই চট্টগ্রামে মামলার তদন্ত কাজে ধীরগতি সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ ও তদন্ত গতিশীল করতেই সম্প্রতি আদালত মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইডির পরিদর্শক লিটন হালদার মামলাটি তদন্ত কবেন।
তিনি আরও জানান, ‘গম আত্মসাতের ঘটনার পর খুলনার শেখ আশরাফ আলী অ্যান্ড সন্সের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শেখ আজিজুল ইসলাম চলতি বছরের গত ৩১ মে চট্রগ্রাম বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. কামরুল ইসলাম, তার পুত্র নরুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান খান মামুন, রোকেয়া অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলের মালিক সাইফুল ইসলাম ও গোডাউন মালিক মালেক মাঝিকে আসামি করা হয়।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সামজিন অ্যান্ড কোং লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযিায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করার কথা। চুক্তির পর খুলনার শেখ আশরাফ আলী অ্যান্ড সন্সকে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের স্থানীয় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথম দফায় ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রেক টন গম আসে এবং তা খাদ্য বিভাগকে সরবরাহও করা হয়। দ্বিতীয় দফায় জাহাজে করে শত কোটি টাকা মূল্যের ৩৩ হাজার মেট্রিক টন গম চট্রগ্রাম বন্দরে আনা হয়। এই সময় জাহাজের গম খালাসের জন্য জে কে শিপিংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা আদালতের অনুমতি নিয়ে ৩৩ হাজার টন গম খালাস করে চট্রগ্রাম বন্দর ঘাট এলাকার মালেক মাঝি গোডাউনে রাখে। পরে আদালত এই গমের ওপর স্থিতিতাবস্থা জারি করলেও জে কে শিপিং অনুমতি না নিয়ে ওই গম বিক্রি করে দেয়। আর খাতা কলমে ওই গম চট্রগ্রাম মালেক মাঝির গুদামে রাখা আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
গম সরবরাহকারী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বিষয়টি জানতে পেরে ২০১৫ সালের ১১ মার্চ চট্রগ্রামে এসে গম পাননি। উল্টো তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তিনি চট্রগ্রামের ডবল মুরিং থানায় জে কে শিপিং লাইনার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন (নং ৪৯৭ তাং ১১.০৩.২০১৫) এবং দূতাবাসের মাধ্যমে থানায় মামলা করেন।
/এসএনএইচ/