যশোরে নিখোঁজ ওষুধ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, সহকারীর হদিস নেই

তোয়াক্কেল হোসেন ও ইয়াসিনযশোরের মণিরামপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া ওষুধ ব্যবসায়ী তোয়াক্কেল হোসেনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার সহকারী মাওলানা ইয়াসিন আশরাফের কোনও হদিদ পাওয়া যাচ্ছে না। 

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশোরের রাজারহাট থেকে তোয়াক্কেল হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওষুধ দোকানে দায়িত্ব পালনকালে তারা নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তোয়াক্কেল হোসেন, কর্মচারী টুটুল এবং ইয়াসিন আশরাফ ফার্মেসিতে ছিলেন। এ সময় একটি সাদা প্রাইভেটকার এসে ফার্মেসির সামনে দাড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর সাদাপোশাকে দু’জন লোক সেখান থেকে তোয়াক্কেল ও ইয়াসিনকে ওই  প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যশোরের দিকে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে তাদের মোবাইলফোন বন্ধ ছিল।

ফার্মেসির কর্মচারী টুটুল জানান, ‘প্রাইভেটকারটি থামার পর তিনি দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে বাসার দোতলায় যান। নিচে এসে দেখেন দোকানে তালা দেওয়া।’

এ ব্যাপারে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মন্টু জানান, ‘আমাদের সমিতির সাবেক সেক্রেটারি তোয়াক্কেল হোসেন ও ইয়াসিনের সন্ধানে সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশকে অবহিত করা হয়। আর নিখোঁজ ইয়াসিনের বড়ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি ইয়ামিন শুক্রবার থানায় একটি জিডি (যার নম্বর ১১৭০) করেন।’

মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শ্যামলাল নাথ বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পরে যশোরের রাজারহাট এলাকায় তোয়াক্কেল হোসেন দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে পুলিশের গাড়ি দেখে তিনি তাদের সহযোগিতা চান।’

তিনি আরও বলেন, ‘তোয়াক্কেল পুলিশকে জানিয়েছেন, কেউ তাকে নিয়ে যাননি। তিনি যশোরে নিজ উদ্যোগেই গিয়েছিলেন এবং মারকাজ মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।’

নিখোঁজ ইয়াসিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।

তোয়াক্কেল হোসেন মণিরামপুর পৌরসভার কামালপুর এলাকার বাসিন্দা। আর মাওলানা ইয়াসিন উপজেলার খানপুর এলাকার মাওলানা ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি বহুদিন ধরে ওই ড্রাগ হাউজে সহকারী হিসাবে কাজ করে আসছেন।

/এসএনএইচ/