নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

খাদিজা আক্তার নার্গিস

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ১১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে ২৯ নভেম্বর মামলার সব সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে সমন ইস্যু করেন আদালত। ওইদিন বদরুল আলমকে (২৯) অভিযুক্ত করে চার্জগঠন করেন আদালত। সেসময় আজ সোমবার ( ৫ ডিসেম্বর ) সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলায় ৩৭ জন সাক্ষির মধ্যে প্রথমদফায় ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বদরুল আদালতে উপস্থিত ছিল।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ৩৭ জন সাক্ষী রয়েছেন। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া, চাচা আব্দুল কুদ্দুস, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোহাম্মদ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি, সিকিউরিটি গার্ড রাশেদুল করীম, নার্গিসকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারকারী ইমরান কবীর ও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার অতিকুল গণিসহ আরও কয়েকজন সাক্ষ্য দেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৫১ পৃষ্ঠার ডকেটে ও ৮ পৃষ্ঠার চার্জশিটের সঙ্গে অন্য আলামতের বিবরণসহ (সাব-অর্ডিনেট পেপার) সংযুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে ভিকটিম খাদিজা আক্তার নার্গিস, মামলার বাদী খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুসসহ ৩৭ জনের নাম রাখা হয়।

নার্গিসের ওপর হামলার পর মামলা হওয়ার এক মাস পাঁচ দিনের মাথায় মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করেন। ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে তা গৃহীত হয়। সিলেট মহানগরের অতিরিক্ত বিচারিক হাকিম উম্মে সরাবন তহুরা এক আদেশে মামলাটি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে ২৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করেন। ওইদিন সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলমকে হাজির করা হয়। আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত বদরুলের সামনেই অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়।

/এমডিপি/টিএন/