নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র নেয়ামতউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরিশালে আনা হয়েছে

পুলিশ হেফাজতে নেয়ামতউল্লাহনিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র নেয়ামতউল্লাহ (১৬) কে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা থেকে বরিশাল আনা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে  জানিয়েছে পুলিশ।
গত ৩০ নভেম্বর সে তার বাবার ওপর রাগ করে নিরুদ্দেশ হয়।৩ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর  তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যমে নেয়ামতউল্লাহর নিখোঁজের সচিত্র খবর প্রকাশিত হলে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) তাকে ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে উদ্ধার করে এবং শুক্রবার দিবাগত রাতে বরিশালে নিয়ে আসে।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘নেয়ামতউল্লাহ নামে ১৬ বছরের ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে শুক্রবার রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানাধীন কদম রসুল মসজিদের সামনে মোখলেছের হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে বরিশালের পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।’
আকরাম হোসেন  বলেন,‘এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের কাছ থেকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের হেফাজতে রেখে তাকে আরও জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অপরাধমূলক তৎপরতার কোনও  প্রমাণ বা তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।’

অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন,‘গত ৩০ নভেম্বর আগৈলঝাড়ার মারকাজ মাদ্রাসা থেকে বাকাল গ্রামের হতদরিদ্র খোরশেদ বেপারীর ছেলে নেয়ামতউল্লাহ নিখোঁজ হয়।’

তিনি বলেন,‘এর আগে নেয়ামতউল্লাহ তার পিতার কাছে অতিরিক্ত টাকা চাইলে, তার বাবা বকাঝকা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে সে মাদ্রাসা থেকে  কাউকে না বলে ঢাকায় চলে যায়।’

জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া না গেলে তাকে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন ।

আগৈলঝাড়া থানায় দায়ের করা  সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহ জালাল জানান, ‘নেয়ামতউল্লাহর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ মেলেনি।’

নেয়ামতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মামা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কেউ নিখোঁজ হলেই তার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার খবর প্রচার করা ঠিক নয়। এতে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘

এপিএইচ/