চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত, সেচ সংকটের আশঙ্কা

চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিতশেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্নাসীভিটা এলাকায় নবনির্মিত রাবার ড্যামের উজানে চেল্লাখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী গ্রাম। এতে মৎস্য খামার, গাছপালা ও ঘরবাড়িসহ রাস্তা-ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে নবনির্মিত রাবার ড্যামের উজানে নদীর রিজার্ভ পানি কমে গেছে। এতে চেল্লাখালী নদীর রাবার ড্যামের পানি ও আসন্ন বোরো আবাদে সেচ সংকটের আশঙ্কা করেছেন এলাকার কৃষকরা।

এলাকাবাসী জানান, ২০০২ সালে চেল্লাখালী নদীর দুই তীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে ওই বাঁধটি আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে বাঁধটি দুর্বল অবস্থায় ছিল। 

চলতি বছরের শুরুতে স্থানীয় কৃষকদের সেচ সুবিধার্থে এ নদীর সন্নাসীভিটা বাজার এলাকায় রাবার বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করে বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প বিভাগ। বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে গত নভেম্বরে রাবার বাঁধটি ফুলিয়ে নদীর উজানে পানি রিজার্ভেশন শুরু করা হয়। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রাবার বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটার উজানে মাটির বেড়ি বাঁধটি আকস্মিকভাবে ভেঙে যায়। এতে নদীর রিজার্ভ করা পানিতে ভেসে যায় অনেক মৎস্য খামার। ছোট কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে গ্রামের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটিও। পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বোরো ধানের বীজতলা। রাতেই বিএডিসির পক্ষ থেকে রাবার বাঁধটি দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হলে নদীর পানি ভাটিতে নামতে শুরু করে।

এদিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে বুধবার বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের সদস্য পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফেরদৌস রহমান, রাবার ড্যাম প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পচিালক আশরাফ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিএডিসির রাবার ড্যাম প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘মূলত বেড়ি বাঁধটি আমাদের নয়। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। যেহেতু আমরা কৃষকের স্বার্থেই রাবার ড্যাম করেছি তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করবো। ফলে বোরো মৌসুমে পানির সংকট থাকবে না বলে আমরা আশা করছি।’

/এফএস/