শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়ক সংস্কারে উপেক্ষিত মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি

শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়কের দৃশ্যসিরাজগঞ্জে তাঁত সমৃদ্ধ শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশা বিরাজ করছে। জেলার চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর ও খুকনী থেকে শাহজাদপুর উপজেলার ঘোরশাল ও রতনকান্দি হয়ে করতোয়া সেতু পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিল মাসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কটি সংস্কার ও মেরামত করতে সওজ প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। কিন্তু সে নির্দেশ গত সাড়ে ৮ মাসেও বাস্তবায়িত হয়নি।

শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বেলকুচির তাঁতিরা শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও সোহাগপুর কাপড়ের হাটে তাদের তাঁত সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ে এ সড়ক ব্যবহার করে। আবার শাহজাদপুরসহ আশেপাশের শত শত রোগী প্রতি সপ্তাহে এ সড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম বেসরকারি হাসপাতাল এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী (র.) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়কের দৃশ্যগত কয়েক বছরে বন্যায় এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে বিটুমিনের প্রলেপ ও খোয়া-বালি উঠে গেছে। সড়কটি মেরামত ও সংস্কারে জন-সাধারণের কাছে স্থানীয় শাহজাদপুর ও চৌহালী-বেলকুচির দুই সংসদ সদস্য নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। বরাদ্দ স্বল্পতার অজুহাতে সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কার করেনি।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে, এলাকাবাসী সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে কোনও প্রসূতিকে  হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সড়কের মধ্যে বাচ্চা প্রসবের উপক্রম হয়। খুকনী বাজারের আগে একটি লোহার বেহলি সেতুর ওপরিভাগে লোহা ক্ষয়ে খানা খন্দের সৃস্টি হয়েছে। যার ওপর দিয়ে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন।

শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়কের দৃশ্যস্থানীয়রা জানান, নির্বাচনের আগে স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিববহন ও সেতুমন্ত্রী রাস্তাটি সংস্কার ও মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারও বাস্তবায়ন হয়নি।

এ বিষয়ে সওজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পিকে বলেন, ‘রাস্তাটি খুবই জনগুরত্বপূর্ণ। মন্ত্রীর নির্দেশের পর  রাজশাহী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দফতর থেকে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। তাই আপাতত হালকা সংস্কার বা মেরামত কাজ করা হচ্ছে না। টেন্ডারটির অনুমোদানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’

স্থানীয় সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা রুট লেভেলের কর্মকর্তা। সংসদ সদস্যরা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বরাদ্দ ও টেন্ডারটির অনুমোদনের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া বা তদবির করলে ভালো কাজ দ্রুত হবে।’

শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়কের দৃশ্যসম্প্রতি জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও নিজ নিজ এলাকায় অগ্রাধীকার প্রকল্পের বরাদ্দের জন্য তদবির করতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন।

শাহজাদপুর আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বেহাল অবস্থা দেখে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কাজটির দ্রুত টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডারটি মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে।’

সওজ রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু রওশন বলেন, ‘রাস্তাটির অবস্থা একেবারই বেহাল। মন্ত্রণালয় টেন্ডার অনুমোদন করলেই কাজ শুরু হবে।’ 
আরও পড়ুন: 

/এসএনএইচ/