পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে শাজাহানপুর উপজেলায় গুলি করে এক ডাকাতসহ মাইক্রোবাস আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কিছু স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাব ও থানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন স্বর্ণের দোকানের মালিক গোলজার রহমান (৫৮), পথচারী রবিউল ইসলাম (৫৫) ও জাকির হোসেন (৪০)। এছাড়া পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে ডাকাত দলের সদস্য আলমগীর হোসেন (৪৫)। সে পাবনার আতাইকুলা উপজেলার কাজীপুর গ্রামের টুকু লস্করের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাইক্রোবাসে ৬-৭ জনের একদল ডাকাত শহরের সাতমাথার কাছে এমএ খান লেনের গোল্ডেন মার্কেটের সামনে আল-হাসান জুয়েলার্সের সামনে থামে। ২-৩ জন ক্রেতা সেজে জুয়েলার্সে ঢোকে। তারা হঠাৎ মুখোশ পরে এবং মালিক গোলজারের পায়ে গুলি করে। এরপর অস্ত্রের মুখে মালিক ও কর্মচারীদের জিম্মি করে সিন্দুকের চাবি নিয়ে নেয়। জুয়েলার্সের মালিক গোলজার রহমান দাবি করেন, ডাকাতরা সিন্দুক খুলে ও শোকেস ভেঙে প্রায় ৫০০ ভরি সোনার গহনা এবং নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা বস্তায় তোলে। জুয়েলার্সের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস খুলে নেয়। এরপর ডাকাতরা মাইক্রোবাসে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে তারা ৩-৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে আশপাশের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। ককটেলের আঘাতে পথচারী রবিউল ও জাকির হোসেন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হন।
এদিকে পুলিশ বগুড়ার শাজাহানপুরের নয়মাইল এলাকায় গুলি করে মাইক্রোবাস থামতে বাধ্য করে। সেখানে গুলিতে ডাকাত আলমগীর হোসেন আহত হয়। আহত চারজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, তাৎক্ষণিকভাবে লুটের পরিমাণ বলা সম্ভব নয়। ২-৩ জন আহত হয়েছেন। কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও মাইক্রোবাসসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য ডাকাতদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে প্রকাশ্যে জনবহুল মার্কেটে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মার্কেটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
/এমএনএইচ/