‘অস্ত্রধারীরাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে এতটাই জটিল করেছেন যে, কোনও ভদ্রলোক এখন রাজনীতি করেন না। ঠিকাদার, অবৈধ ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারীরাই এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ও দেশকে এগিয়ে নিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের ৩০তম সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্র ইউনিয়নের দলীয় টেন্টে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম।

সম্মেলনে অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে তথ্য-প্রযুক্তিকে জ্ঞানে রূপান্তর করতে হবে। আর রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নকেও এ দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের প্রত্যেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ থাকতে হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে নতুন নেতৃত্ব আসবে, নতুন নতুন চিন্তা আসবে। এভাবেই দেশ এগিয়ে যাবে।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী বলেন, মানুষ যেমন সামাজিক জীব, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- সামাজিক সত্ত্বা। বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই ভূমিকা রাখতে হবে, যা রাষ্ট্র ও জনগণ প্রত্যাশা করে। এই প্রত্যাশা- জাতিকে পথ প্রদর্শনের ও নেতৃত্ব তৈরির।

ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি লিটন নন্দী বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে, যা ’৭৩-এর আইন পরিপন্থী। এর মধ্য দিয়ে পেশিশক্তির রাজত্ব কায়েম করেছে প্রশাসন। শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান সোহানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সুমনা সরকার ঝুমুর, সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সভপতি কিংশুক কিঞ্জল, রাবি বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহ-সভাপতি তাসনুভা তাহরীন অন্তরা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মিনহাজুল আবেদীন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় টেন্ট থেকে একটি র‌্যালি বের করে নেতাকর্মীরা। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

/টিএন/