১০ দিনের রিমান্ডে থাকা কাদের খাঁন রিমান্ডের চতুর্থ দিনে আদালতে ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতাসীন হওয়ার লোভ ও নিজে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় লিটনের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরেই তিনি লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
কাদের খাঁন জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতে উপস্থিত পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সাবেক এমপি কাদের খাঁন তার জবানবন্দিতে সংসদ সদস্য লিটন হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নিজের দায় স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহমেদ আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চার জনকেই আটক হয়েছে। আশা করছি, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এই মামলার চার্জশিট দিতে পারব।’
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনার দেড় মাসেরও বেশি সময় পর গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লিটন হত্যার মূল হোতা সন্দেহে জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আবদুল কাদের খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ডা. কাদেরের গাড়িচালক, এক ভাতিজা, কাজের ছেলে ও রানা নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই চার জনের সবাই এরই মধ্যে এমপি লিটন হত্যায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি কাদের খাঁনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী তার বাড়ি থেকে একটি পিস্তুল, ছয় রাউন্ড গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে কাদের খান একটি পিস্তুল ও ১০ রাউন্ড গুলি সুন্দরগঞ্জ থানায় জমা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-
এমপি লিটন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে স্বস্তিতে আ.লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা
এমপি লিটন হত্যা মামলা: আসামি রানার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
/টিআর/