বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় দাদীর কাছে শোনা বাবার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি মানুষের উপকারের জন্য কাজ করতেন। নিজের জামা, খাবার ও অন্যান্য জিনিস অভাবি মানুষকে বিলিয়ে দিতেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন, এ দেশের প্রতিটি শিশু শিক্ষিত হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। প্রতিটি শিশুর মধ্যেই সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে, তা বিকাশের সুযোগ করে দিচ্ছি।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই বিশেষ সমাবেশে খানিকটা ব্যতিক্রম ঘটিয়েই সভাপতিত্ব করে শিশু প্রতিনিধি উপমা বিশ্বাস। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং শিশুদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখে শিশু ফাইয়াদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মনির হোসেন ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার।
শিশু সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও ৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে শিশু ও মহিলা অধিদফতরের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার একশ দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছান। সকাল ১০টার পর রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদও সেখানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। পরে দু’জনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদেন করেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা।
আরও পড়ুন-
বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন আজ
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৫৫ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধুর ৮টি জন্মদিন কেটেছে কারাগারে
টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
/টিআর/