কুসিক নির্বাচন: দলীয় ঐক্যে উজ্জীবিত দুই মেয়র প্রার্থী

গণসংযোগে দুই মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও মনিরুল হক সাক্কুকুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও মনিরুল হক সাক্কু দলীয় ঐক্যে উজ্জীবিত হয়ে গণসংযোগ করছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে এখন বাজছে ঐক্যের সুর। আ. লীগে বিবদমান দুটি দল একত্র হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। একইভাবে ধানের শীষে ভোট পাওয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

গণসংযোগের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকালে কুমিল্লা টাউন হলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আ. লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এখানে মেয়র প্রার্থী সীমাও ছিলেন। প্রচারণার তৃতীয় দিনে সকাল থেকে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকা, তেলিকোনা, মুরাদপুর, কাটাবিল, ডিগাম্বরীতলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি।

গণসংযোগের সময় সীমা বলেছেন, ‘আমাকে সুযোগ দিন। অতীতের মতো নির্বাচিত হয়েও আপনাদের সেবায় পাশে থাকবো। নৌকা হলো জাতির জনক, উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখুন।’

এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি লিয়াকত শিকদারসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।

এদিকে সাক্কুর পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন। শুক্রবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন তারা। নগরীর ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান, ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া ও আবদুল আউয়াল খান।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। ঢাকার দুটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। সেখানে পুলিশ ভোট দিয়েছে। জনগণের সব অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আমরা দেখেছি, গাইবান্ধায় সাঁওতাল পল্লীতেও পুলিশ আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’

আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। তবে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে ও ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের জয় হবে বলে আশাবাদী তারা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েন জরুরি বলে মন্তব্য তাদের।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারণায় অংশ নেন।

/জেএইচ/