এর আগে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনেও মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন সাক্কু। ওই নির্বাচনে সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে তিনি সীমার বাবা অ্যাডভোকেট আফজাল খানকে পরাজিত করে কুসিকের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কুসিকের ১০১টি কেন্দ্রের কেন্দ্রিকভিত্তিক ফল ঘোষণা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, নির্বাচনে মোট এক লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ ভোট পড়েছে। ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘মোট ১০১টি কেন্দ্রের মধ্যে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হবে।’
রিটার্নিং অফিসার আরও বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা আচরণবিধি মেনে চলবেন।’
ফল ঘোষণার আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘ছোটখাটো দু’য়েকটি গোলযোগপূর্ণ ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দু’টি কেন্দ্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্র দু’টি হলো কুমিল্লা সিটি কলেজ ও চৌয়ারা ইসলামিয়া মাদ্রাসা।’
উল্লেখ্য, ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন মহিলা। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩টি এবং ভোট কক্ষ ৬২৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার ১০৩, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬২৮ এবং পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন ১ হাজার ২৫৬ জন।
/এমএনইচ /টিআর/