মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের লক্ষ্মীপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ অটোরিক্সা চালকরা গাছের গুড়ি ফেলে ঘণ্টাব্যাপী ওই সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, শহরের ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে অটোরিক্সা চালক পলাশ লক্ষ্মীপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছান। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ অর্কো ওই চালকের কাছে ৫শ’ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় পলাশ তাকে ৩শ’ টাকা দিতে রাজি হন। পরে পুরো টাকা না পেয়ে ওই পুলিশ সদস্য পলাশকে লাথি মেরে টেনেহেঁচড়ে বেধম মারধর করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা ওই ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরই মধ্যে ওই ট্রাফিক পুলিশ পালিয়ে যান। পরে চালকরা একত্রিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ অর্কো জানান, ‘প্রতিদিন অবৈধ অটোরিক্সা আটক করে মামলা দেওয়া হয়। ওই অটোরিক্সাটি ধরার পর চালক আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে ধরতে গেলে সে পড়ে গিয়ে আহত হয়।’
এ সময় তিনি চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তাকে ৫শ’ টাকার মামলা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
তবে ওই এলাকার অটোরিক্সা চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ ধরলেই ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা না দিলে মামলা অথবা হেনস্থা করা হয়।
এদিকে হাসপাতালে আহত পলাশকে দেখতে এসে তার মা লায়লা আক্তার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, চাঁদা না পেয়ে পুলিশ আমার ছেলেকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান, পলাশের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান পা ভেঙে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
/এসএনএইচ/