এমপি লিটন হত্যা মামলা: চার্জশিটে প্রধান আসামি কাদের খাঁন

গাইবান্ধার এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খাঁনকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর (জিআরও) মিজানুর রহমান মিজান জানান, আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি মোটরসাইকেলসহ তদন্তে পাওয়া অন্যান্য আলামতও জমা করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খাঁন ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবদুল হান্নান, মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, আনারুল ইসলাম রানা, চন্দন কুমার সরকার, শামসুজ্জোহা ও সুবল কসাই। এদের মধ্যে চন্দন কুমার সরকার পলাতক। অন্য আসামিরা বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান

ওসি আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মামলার তদন্ত শেষে আটজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিদের মধ্যে একজন পলাতক থাকায় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হবে। 

প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে গুলিতে নিহত হন এমপি লিটন। পরদিন ১ জানুয়ারি লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আবদুল কাদের খাঁনকে বগুড়া শহরের রহমান নগরের গরীব শাহ ক্লিনিকের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি সাংসদ লিটনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আবদুল কাদের খান।

/এমএ/টিএন/