পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শহরের কান্দিপাড়া এলাকার সৌরভ নামক এক যুবকের সঙ্গে রাতুল ও সাইফুলের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরেই বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে সৌরভ পৈরতলা এলাকায় কিশোর রাতুল ও সাইফুলকে ডেকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসা মাত্র এই দুই কিশোরের সঙ্গে সৌরভের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সৌরভ ও তার সঙ্গীরা দুই কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী রাতুল ও সাইফুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতুল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সাইফুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুছা চৌধুরী জানান, হতাহতের শরিরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ষ ক্ষরণের কারণে রাতুলের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ছুটে আসি। আমি দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় সিয়াম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে এই ঘটনার পর নিহত রাতুলের চাচা বাচ্চু মিয়া, নানা সৌকত মিয়া এবং কাশেম মিয়া বোন ফাতেমাসহ স্বজনেরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ সময় তারা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
/এএ/