সাকিব হত্যার ২ বছর: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সাকিব হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধননীলফামারীর সৈয়দপুরের শিক্ষার্থী সিরাজুম মনির খাঁন সাকিব হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠিরা। শনিবার (১৭ জুন) দুপুর দুটার দিকে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যপী মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।

এসময় সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতু বন্ধন, আমাদের টিফিন, পরিবর্তন চাই, নেটওর্য়াক অব ইয়াং নীলফামারীয়ান, ব্লাড ডোনেশন ফাউন্ডেশন, সৈয়দপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতিসহ ১২টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাকিবের সহপাঠী রিফাহ সানজিদা অনন্যা, মুজাদ্দীন ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল হৃদয়, কাজী তানজিজুল হক প্রমুখ।

তারা অভিযোগ করে বলেন, সাকিব হত্যাকাণ্ডের দুই বছর অতিবাহিত হলেও হত্যাকারীদের শনাক্ত কিংবা তাদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু সিআইডি আজও  ওই মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

তারা বলেন, পুলিশ-সিআইডির ব্যর্থতার কারণে আমরা সকলেই আজ অনিশ্চয়তায় ভুগছি। আগামী এক মাসের মধ্যে সাকিব হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। খুনিদের দ্রুত  গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৩ জুন রাতে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিরাজুম মনির খাঁন সাকিবকে শহরের বানিয়াপাড়াস্থ ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সাকিব  শহরের নতুন জেলাখানা মহল্লার হাবিবুর রহমান খাঁনের ছেলে।

নিহত সাকিবের বাবা বলেন, ‘ঘটনার পরের দিনই সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। থানা পুলিশ তদন্তে ব্যর্থ হয়ে (৬/৭ মাস) মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করে। সেই থেকে আজও  সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে চলছে। এখনও পর্যন্ত সিআইডি আমার ছেলে সাকিবের হত্যার কোনও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। আমি বিচার চাই।’

সিআইডি নীলফামারী শাখার উপ-পরিদর্শক সাহেফুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। হত্যার রহস্য এখনও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমরা এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।

/এপিএইচ/