তরুণীদের পছন্দ বাহুবলি ও সুলতান সুলেমান





খুলনায় কেনা-কাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। ছবি-প্রতিনিধিখুলনায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে। ফুটপাতের দোকান থেকে অভিজাত বিপণি বিতান, সর্বত্র সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনা-কাটা। বিপণি বিতানগুলোতে আসা তরুণীদের পছন্দ বাহুবলি ও কাটাপ্পা। জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল সুলতান সুলেমান ও বাহুবলি-২ এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনুকরণে তৈরি পোশাকও পছন্দ অনেকের। গত ঈদে তরুণীদের নজর কেড়েছিল পাখি ও কিরণমালা নামের পোশাক। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যাতায়াতের পথ সুগম হওয়ায় ভারতে গিয়ে ঈদের কেনা-কাটা করছেন অনেক ক্রেতা। এছাড়া লোডশেডিংয়ে অভিযোগও রয়েছে।

রবিবার নগরীর নিউমার্কেটের বিপণি বিতান ঘুরে দেখা গেছে পাঞ্জাবের লেহেঙ্গা, বোম্বের পানচুয়া ও বাহুবলি-২ কাপড়ের মানভেদে ৩ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

মহানগরীর নিউমার্কেট, ডাকবাংলা শপিং কমপ্লেক্সসহ অধিকাংশ মার্কেটে বাহারি রঙ ও নানা নামের পোশাক সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে তরুণীদের দৃষ্টি কেড়েছে লেহেঙ্গা, বাহুবলি, কাটাপ্পা, সাম্পুরা, সুলতান সুলেমান, রেশমি সিল্ক, রাখিবন্ধন, খোকাবাবু-বৌমনি ইন্ডিয়ান পানচুয়া ও থ্রি-পিস।

থ্রি-পিস কিনতে আসা আফসানা মিম বলেন, ‘এবছর থ্রি-পিসের দাম গত বছরের চেয়ে কয়েকগুন বেশি।’

আফরিন জারা নামের এক তরুণী বলেন, ‘আম্মুর সঙ্গে এসেছি। আমার পছন্দের পোশাক বাহুবলি।’ কেন বাহুবলি পছন্দ জানতে চাইলে জারা বলেন, ‘এ পোশাকটি নতুন এসেছে তাই পছন্দ।’ মেগা সিরিয়াল বাহুবলির নামে এই পোশাকটির নামকরণ করা হয়েছে।

ভাই আসিফ মাহমুদের সঙ্গে ডাকবাংলা শপিং কমপ্লেক্সে আসা আকলিমা সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন বাহুবলি। আকলিমা বলেন, ‘বান্ধবীরা সবাই বাহুবলি কিনেছে। তাই আমিও কিনেছি।’

ঈদের কেনা-কাটায় আসা ক্রেতাদের ভিড়। ছবি-প্রতিনিধিপায়েল গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘গত ঈদের তুলনায় এখনও মার্কেট জমে ওঠেনি। তাছাড়া ভারতে যাতায়াতের পথ সুগম হওয়ায় বড়-বড় ক্রেতারা হাতছাড়া। তারা সবাই ভারতে গিয়ে ঈদের কেনা-কাটা করছেন।’

নগরীর নিউ মার্কেটের নিউ কালার বিপণি বিতানের স্বত্বাধিকারী স্বপন দত্ত বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’

নিউ মার্কেটে শপিং করতে আসা সোনাডাংগার আফসানা আক্তার মীম বলেন, ‘তিন-চার হাজার টাকায়ও ভাল মানের কোন পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না।’

/এনআই/