চাঁদপুরে পুলিশের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১




চাঁদপুর শহরে পুলিশের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা। ছবি- প্রতিনিধিচাঁদপুর শহরে পুলিশের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শহরের গুণরাজদী এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা ইকবাল বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  এর আগে শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।





পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, মারধর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনকে হত্যার চেষ্টা ও ট্রাফিক সার্জেন্ট রফিকুল ইসলামের মোটরসাইকেলসহ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।
মামলার বাদী বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহেদুল ইসলাম রোমানকে প্রধান আসামি করে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ, যুবলীগের ১১ নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তার জন্য চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। সেখানে পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা করা হয়েছে। এসব গুরুতর অপরাধের বিষয়ে আমরা তৎপর। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ঈদে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে অবৈধ মোটরসাইকেলবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী দেখে তার গতিরোধ করা হয়। ওই মোটরসাইকেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল ইসলাম রোমানও ছিলেন। পরে পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওই নেতারা। পরবর্তীতে আরো কয়েকশ’ নেতাকর্মী এসে শহরের কালিবাড়ি এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের যানবাহন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও মারধরের শিকার হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এতে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনার পর উত্তেজনা দেখা দিলে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
/এনআই/