পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ফারাকপুর গ্রামের মেডিক্যাল কলেজছাত্রী বিভার বাবা আবু বক্কর কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের আর ঈদের আনন্দ কোনওদিনই ফিরে আসবে না। ঈদ আসা মানে আমাদের সন্তান হারানো বুকফাটা কষ্ট আর আর্তনাদ। একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন গংগারামপুর গ্রামের নিহত স্কুলছাত্রী বিথীর বাবা বাবুল হোসেন। এদিকে নিহত সাহাজুলের ঘরে রয়েছে ছোট দুটি অবুঝ শিশু। বাবাহারা দুই শিশুর মা ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে নতুন সংসার বেঁধেছে। সেও আর এখন নিজ সন্তানদের খবর রাখে না। ২০১৪ সালে পদ্মায় নৌকাডুবিতে অবুঝ দুই শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে। এখন তারা বড়ই অসহায়। বৃদ্ধ অসহায় দাদি তাদের একমাত্র অবলম্বন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরের দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে বিভিন্ন বয়সী ২০-২২ জন যাত্রী নৌকায় ওঠেন। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামে পদ্মা নদীর মাঝখানে প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। অর্ধেক যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ১২ জন নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে বিভা (২২), শিপন (২৬), শাহাজুল (২৮), স্বপন (২০), ইমরান (১০) ও তার বোন শিখা (২০); বিথী (১০), তিন্নি (৭), সন্ধ্যা (৮), সুবর্না (৬) ও কালুর (২৫) লাশ উদ্ধার হলেও আজও নিখোঁজ রয়েছে কেয়ামনি (৫) নামে এক শিশু।
/এনআই/