বিজিবি জওয়ান সুমনের বাড়িতে উদ্বিগ্ন স্বজনরা





সুমন মিয়া। ছবি- প্রতিনিধিবাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার হবিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সুমনকে দ্রুত উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে চোরাকারবারিদের ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পরও তার সন্ধান মেলেনি

সুমন পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তৃতীয়। তার বাবা-মা বেঁচে নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের আটঘরিয়া (বড়বাড়ি) গ্রামে সুমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এলাকার লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করছে।
বড় ভাই আশিক মিয়া জানান, মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে সুমন নিখোঁজ হওয়ার খবরটি বিজিবির একজন অফিসার ফোন করে জানায়। সুমন ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজিবিতে যোগদান করে। ২০০৮ সালে চুনারুঘাট উপজেলার গাতাবলা গ্রামের প্রবাসী আবুল ফজল মিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারকে বিয়ে করে।
সুমন মিয়ার হবিগঞ্জের বাড়িতে ভিড়। ছবি- প্রতিনিধিসুমনের আরেক ভাই সাদেক মিয়া বলেন, ‘আমাদের ভাইকে জীবিত উদ্ধার করা হোক।’
সুমনের সৎ মা মফিলা খাতুন বলেন, ‘সরকার আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিক।’
সুমনের বন্ধু সোহেল মিয়া বলেন, ‘নিখোঁজের খবর বিশ্বাস করতে পারছি না।’
ল্যান্স নায়ক সুমনের ভাতিজা নাফিক ইকবাল বলেন, ‘চাচু রমজান মাসের শেষ দিকে বাড়িতে এসেছিলে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৭ জুন) ভোরে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে চোরাকারবারিদের ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।
/এনআই/