ছাত্ররা শিক্ষকদের হাত থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আসাদুজ্জামান। উত্তেজনার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে যান তিনি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ফিরোজুল ইসলাম নয়ন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিরদ্ধে এ মানববন্ধনকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অপচেষ্টা মনে করেছি আমরা। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই কর্মসূচির প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রতিহত করেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ আসন সংরক্ষিত না রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছেন উপাচার্য। কতিপয়-কর্মকর্তা-কর্মচারীর ইন্ধনে এ নিয়ে পরপর দুইবার তিনি আর্থিক সুবিধা পেয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেওয়া, সিন্ডিকেট সভায় পাস না-করাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বরিশাল শহরে মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজ ভিসির অপসারণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনও করেছেন।’
উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধনে কতিপয় ছাত্র ছাত্রলীগের ব্যানারে স্লোগান দিতে দিতে এসে ব্যানার নিয়ে যায়। এসময় তারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে অশালীন বক্তব্যও প্রদান করে।’
প্রধানমন্ত্রী তাকে জেনেশুনেই নিয়োগ দিয়েছেন উল্লেখ করে উপাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে আরও বলেন, ‘কোনও একটি মহল উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারবে না কেউ। আর যারা আন্দোলনের পেছনে আছেন তারা আদালতে রিট করেও হেরেছেন। যারা আজ শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
/এনআই/জেএইচ/