কারাগার থেকে হাসপাতালে বরিশালের কাউন্সিলর রূপা

আদালতে নেওয়া হচ্ছে কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে (ফাইল ছবি)

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাপুড়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় কারাগারে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসরাত আমান রূপা বিসিসির ১৬, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর।

জেলার মনির হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে কোতোয়ালী থানার পুলিশ ইসরাত আমান রূপাকে আদালতে জাহির করে। আদালত রূপাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই দিন রাতেই কারা অভ্যন্তরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা চিকিৎসকদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টার দিকে অসুস্থ রূপাকে শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।’

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের জিয়া সড়ক মদিনা মসজিদ এলাকায় দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ সাপুড়ে মান্না পাহাড়িকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ১৯ জুলাই রাতে মান্নার স্ত্রী কাজল বেগম বাদী হয়ে ইসরাত আমান রূপাসহ স্থানীয় যুবলীগ কর্মী তরিকুল ইসলাম রাজা, সরজিৎ চন্দ্র রায় ওরফে সবুজ, মো. ফিরোজ, মাসুদ মোল্লা ও রফিকুল ইসলাম বাদশাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডের নিজ বাসা থেকে রূপাকে গ্রেফতার করে  আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

মামলায় কাজল বেগম অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে তার স্বামীকে সাপের বাক্সে করে কক্সবাজার থেকে বরিশালে ইয়াবা বহনের প্রস্তাব দেন যুবলীগ কর্মী রাজা ও কাউন্সিলর রূপা। এতে রাজি না হওয়ায় মান্নাকে হুমকি দেন তারা।  ওই সময়ে মান্না কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু তারপরও তার শেষ রক্ষা হয়নি।

/এমএ/